1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
সিএমপি'র টিআই শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ - পূর্ব বাংলা
মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা শহীদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি নেতা বিপ্লব মাওলানা শাহ সুফি মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন মমিন (রঃ) এবং কবরবাসী স্বরণে ১ম বার্ষিক দোয়া মাহফিল ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন বায়েজিদ বোস্তামী ও মালেক শাহ (র.) ওরশ সম্পন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ফোরকানিয়া মাদরাসা শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত  আল্লামা আবুল খাইর ফাউন্ডেশন ২৬৫ জন রোগীর ছানি অপারেশন করালেন

সিএমপি’র টিআই শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১
  • ৩৭২ বার পড়া হয়েছে

 নিজস্ব প্রতিনিধি

দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশ পথ নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকায় যাত্রী হয়রানী লেগেই আছে। আছে দূর্ঘটনা ও ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটও । এ সবের মুলে সাধারণ মানুষ ও স্থানীয়রা দায়ী করছে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে। সাধারণ মানুষ , ড্রাইভার – হেলপার ও  গাড়ীর মালিক সবাই জেনে গেছে ট্রাফিক পুলিশেের নানা অনিয়ম ও চাঁদাবাজির হিসাব নিকাশ। ফলে এখানে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নেই বললেও চলে।

পূর্ব বাংলা পত্রিকার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞাকে রীতিমত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই সেতু হয়ে প্রতিদিন নগরে প্রবেশ করছে শতশত অবৈধ সিএনজি ও ডকুমেন্ট বিহীন মাহেন্দ্র হিউম্যান হলার, মাইক্রো বাস, মিনিবাস সহ বিভিন্ন যানবাহন। এসব গাড়ী গ্রাম অঞ্চলের হলেও অবৈধ লেনদেন মাধ্যমে ঢুকে পড়ে নগরে। এই লেনদেন হয় টিআই শামসুদ্দিনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে।

অভিযোগ আছে, ট্রাফিক পুলিশ ও  কতিপয় হাইব্রীড নেতা ক্ষমতাসীন দলের পরিচয়ে চাঁদা নিয়ে এসব যানবাহনকে শহরে প্রবেশের ব্যবস্থা করে দিয়ে  হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল টাকা। আর এসব যানবাহন পুরো শহর জুড়ে অবাধেই চলছে।

জানা যায়, হিউম্যান হলার, গ্রাম সিএনজি, মাহেন্দ্র, মিনি বাস,রাইডারসহ রুটপারমিটবিহীন বিভিন্ন অবৈধ গাড়ি চলাচল করে এখানে অনায়াসে। মাসোয়ারার বিনিময়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের টিআই সামশুদ্দিনের এ অবৈধ গাড়িগুলো চলে  ।এ ছাড়া বাকলিয়া এলাকার অলি গলিগুলোকেও টিআই সামশুদ্দিন বানিয়েছেন অবৈধ অটোরিকশার স্বর্গরাজ্য। কিছু গাড়ি দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শহরে ঢুকে আবার কিছু গাড়ি নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে ছেড়ে যায় শহরের উদ্দেশ্যে।আর এসব কিছুরই নিয়ন্ত্রক টিআই সামশুদ্দিন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিদিন বান্দরবান  কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া, মগনামা ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা, কর্ণফুলী এবং পটিয়া থেকে  অসংখ্য  নিবন্ধিত যান সিএনজি চালিত অটোরিকশা মহাসড়ক দিয়ে শাহ আমানত সেতু পার হয়ে নগরে প্রবেশ করে। এর মধ্যে অনিবন্ধিত ৩৫০টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা লাইন খরচ বাবদ দৈনিক ৩০ ও মাসিক ২৫০০ টাকা নেন। বাকী গ্রাম নাম্বারধারী ১০০ অটোরিকশা (সিএনজি) থেকে একই হারে দৈনিক ও মাসোহারা নেয় টিআই সামশুদ্দিন। এসব টাকা তোলার জন্য টেন্ডল হিসেবে জাহাঙ্গীর মিস্ত্রিসহ বেশ কয়েকজনকে ব্যবহার করেন ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি অটোরিকশা থেকে দৈনিক ৩০ টাকা করে মাসে প্রায় ৪ লক্ষ ৫ হাজার ও ২৫০০ টাকা মাসোহারায় প্রায় ১১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এ হিসেবে মাসে মোট চাঁদা আদায় করা হয় প্রায় ১৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।সে হিসেবে বছরে চাঁদার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৮৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এ ছাড়াও টিআই সামশুদ্দিনের নামে চলা আরো ১১০টি গ্রাম নাম্বারধারী অটোরিকশা থেকে নেয়া হয় যান প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা। যার পরিমাণ মাসে প্রায় ৯০ হাজার আর বছরে ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। এসব যানবাহনগুলো নগরে প্রবেশের ব্যবস্থা করে টিআই ও স্থানীয় চাঁদাবাজরা বছরে চাঁদা আদায় করছেন প্রায় ১ কোটি ৯৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।

অনুসন্ধান বলছে, পুলিশের প্রবিধানে একই স্থানে দায়িত্ব সীমা ২ বছর হলেও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের  টিআই সামশুদ্দিনের ক্ষেত্রে যেন আইনের ঠিক উল্টো। একই জোনের অন্যান্য কর্মকর্তারা বদলি হলেও দীর্ঘ ৩ বছরের অধিক সময় একই জায়গায় (বাকলিয়া থানা) বহাল তবিয়তে আছেন তিনি। ২০১৬ সালের শুরু থেকে অদ্যবধি বাকলিয়ায় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর  হিসেবে সামশুদ্দিন বহাল তবিয়তে আছেন। অথচ এ সময় ওই জোনের (ট্রাফিক দক্ষিন) বাকী থানাগুলোর দায়িত্বরত টিআইদের বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়েছে। উর্ধ্বতন অফিসারদেরও (ডিসি,এডিসি,এসি) কয়েক ধাপে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য খুঁটির জোরে ৩ বছরের অধিক সময় একই এলাকায় টিআই হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সামশুদ্দিন।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাস্তুহারা সড়কের মুখে খালি জায়গায় শতাধিক সিএনজি চালিত অটোরিকশা পার্কিং অবস্থায় রয়েছে। একটু ভেতরে খালি অন্য আরেকটি জায়গায় আরো প্রায় দেড়’শ মতো সিএনজির পার্কিং। সিএনজি চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় জাহাঙ্গীর মিস্ত্রি নামের এক চাঁদাবাজ টিআই সামশুদ্দিনের যোগসাজশে প্রতিটি অনিবন্ধিত সিএনজি থেকে মাসোহারা ও দৈনিক হিসেবে চাঁদা নেন। টাকা তোলেন জাহাঙ্গীরের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত দুই আলমগীর, অলী ও জামাই হিসেবে পরিচিত এক ব্যক্তিসহ ৪ জন।  এ সব টাকা তুলেন টিআই’র টেন্ডল হারুন নামের এক যুবক।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, টেন্ডল খ্যাত হারুন টিআই সামশুদ্দিনের অবৈধ টাকা তোলার মূল কারিগর। তাকে দিয়ে প্রতিমাসে কয়েক লাখ টাকা তুলেন বাকলিয়ার এই টিআই। এই  বিষয়ে টিআই শামসুদ্দিন সাহেবের কথা বললে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন  টেন্ডল হারুন,জাহাঙ্গীর মিস্ত্রি, দুই আলমগীর, অলী ও জামাই এদের কাউকে আমি চিনি না।

 

 

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla