চট্টগ্রাম জেলা ট্রাফিক ব্যবস্থা জনবল সংকটে ভুগছে। এরই মধ্যে চলছে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম । জনমনে স্বস্থি নেই । নেই গাড়ীর মালিক ও চালকদের মধ্যে সমন্বয়ও। শৃংখলা ও সচেতনতার অভাবে রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা শ্রম ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। সত্য মিথ্যা মিশ্রিত ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগও রয়েছে। বছরকে বছর গেলেও স্থায়ী সুরাহা হচ্ছে না। চট্টগ্রামের সন্ধীপে ট্রাফিক বিভাগের কোন জনবলও নেই । অথচ ওই দ্বীপ অঞ্চলেও ঝানজট থাকে। চলছে এখানে অবৈধ গাড়ীও।
জেলা অফিস সুত্র জানায় , জেলা ট্রাফিকের জনবল সংখ্যা ১০৫। তৎমধ্যে ১ জন টিআই এডমিন , ১০ জন টিআই ও সার্জেণ্ট রয়েছে ১৪ জন। অন্যরা টিএসআই, এটিএসআই ও কনষ্টেবল। পটিয়া, আনোয়ারা, কেরানীহাট, লোহাগাড়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড, জোয়ারগঞ্জ ও রাউজানের নোয়াপাড়া এলাকায় টিআই এর নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক কার্যক্রম চলে। বাঁশখালী, বোয়ালখালী ও মীরসরাইলে একেকজন সার্জেণ্ট দায়িত্ব পালন করেন। । এই অঞ্চলে ১ জন টিএসআইয়ের দায়িত্বে রয়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থা। কনষ্টেবলেরা সন্ধীপ ছাড়া চট্টগ্রামের সব কয়টি উপজেলা ও জেলা অফিসে দায়িত্বরত আছেন।
আনোয়ারার চাতুরী, হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড, জোয়ারগঞ্জ , ফৌজদারহাট ও পটিয়ায় নিত্যদিন ঝানজট লেগেই থাকে। গাঁড়ির হর্ন, বাকবিতণ্ডা, শোরগোল মিলে জনদুর্ভোগ চরমে থাকে তখন। জুলুস, ওরশ মাহফিল ও রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ও ধর্মীয় শোভা যাত্রা হলে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। ওই সময় ভোগান্তিতে থাকে যাত্রীরা। জনবল সংকটের কারণে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগ ব্যবস্থা নিতেও পারে না। নাম্বারবিহীন অসংখ্য গাড়ী ট্রাফিক পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে দাবিয়ে বেড়ার গ্রাম থেকে গ্রামে ।
এই বিষয়ে জেলা ট্রাফিক টিআই এডমিন শাহ মোঃ আরিফুর রহমান এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। তা ছাড়া মালিক, চালক ও যাত্রী সাধারণের সচেতনা ও সমন্বয়ের অভাবও আছে।