নয়ন শীল
মানুষের জন্ম একবার, মৃত্যুও একবার। তাই জন্ম-মৃত্যু সনদ থাকবে একটি করে। তাই একজন ব্যক্তির একাধিক জন্ম সনদ থাকতে পারবেনা বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসান।
আজ বুধবার ৬ অক্টোবর ২১ ইং সকাল ১১ঃ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে আয়োজিত জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার। “সবার জন্য প্রয়োজন, জন্ম ও মৃত্যুর পরপরই নিবন্ধন”- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় দিবসটি পালন করা হয়। বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসান বলেন, দেশের সকল নাগরিক যদি জন্ম ও মৃত্যু সনদের আওতায় আসে তাহলে এ দেশের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান হিসাব করতে সহজ হবে এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। একজন ব্যক্তির একাধিক জন্ম সনদ থাকতে পারবেনা। রোহিঙ্গারা যাতে জন্ম নিবন্ধনের আওতায় আসতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। আগামী ২০৩০ সালে এসডিজি পূরণের জন্য জন্ম নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও উদ্যেগ গ্রহণ করতে হবে। এই বছর রাজশাহী বিভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠ বিভাগ নির্বাচিত হয়েছে। আগামীবার এই অর্জন যেন চট্টগ্রাম বিভাগের হয়। জেলা পর্যায়ে যেন চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচিত হয় এ জন্য সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমের লক্ষ্য অর্জনে এ বছরে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ উপজেলা আনোয়ারা। এ উপজেলার শ্রেষ্ঠ বারশত ইউনিয়ন এর কার্যক্রম সারাদেশে মডেল।
এছাড়াও সংশ্লিষ্ঠ উপজেলা/ইউনিয়ন/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ডে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য সহকারী/পরিবার পরিকল্পনা সহকারীদের নিকট থেকে সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে। বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, টিকা প্রদান/স্কুলে ভর্তি/পাসপোর্ট ইস্যু/জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ/আইনী সেবা প্রাপ্তি ইত্যাদিসহ ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ কাজে জন্ম সনদ আবশ্যক। সরকার সকলের জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি গণ প্রচার করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এ সময় চট্টগ্রাম জেলার নবাগত সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সহায়তা প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। করোনা মোকাবিলায় সকলকে মাস্ক পরিধানসহ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি। আলোচনা সভায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. উখ্য উইন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মোঃ বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ বক্তব্য রাখেন। এ সময় চট্টগ্রাম কালেক্টরেটের অফিসারবৃন্দ, ইউনিসেফ’র প্রতিনিধি, চসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।