ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি
গ্রীন ফুড রেষ্টুরেন্টের নাম দিয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আখড়া বানিয়ে পরিবেশ বিষিয়ে তুলছে ইপিজেড অঞ্চলে । ইপিজেড থানার অদুরে মেইন রাস্তার পূর্বে বিশাল সাইনবোর্ড দিয়ে সোহাগ ও রাজিব ২ ইয়াবা পাচারকারী এ অপকর্ম চালাচ্ছে নির্বিঘ্নে । কতিপয় দুনীতিবাজ পুলিশ তাদের আশ্রয় দিচ্ছে । ইপিজেড থানায় নতুন যোগদানকৃত ওসি সাহেবের কাছে এসব বিষয় গোপন রেখেছে বলে জানা গেছে। অসামাজিক কর্মকাণ্ড ও সাথে এখানে ইয়াবাও পাওয়া যায়। রেষ্টুরেন্ট পরিচালক সোহাগ ইতিপূর্বে ইয়াবাসহ ধরা পড়ে হাজতবাসও করেছিল।
গ্রীন ফুড রেষ্টুরেন্ট নামে হলেও আসলে এইটি একটি মিনি পতিতালয়।পতিতারা এটি অসামাজিক কাজের নিরাপদ ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করে থাকে ।এই বিষয়ে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করে জনৈক মাসুদ এই প্রতিনিধিকে বলেন, এইটি আমরা চালালেও সব আয়ের টাকা পুলিশের ক্যাশিয়ার, ওসি ও বন্দরের ডিসিকে দিতে হয় । ক্যাশিয়ার ইপিজেড থানার ওসিসহ সবাইকে এই টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে থাকে বলে ওই হোটেল পরিচালক দাবী করে।।সর্বশেষ এই রেস্টুরেন্ট বিষয়ে ফোন করে আরো তথ্য ও সত্যতা জানতে চাইলে সে আর ফোন রিসিভ করেনি।মাসুদ নিজেকে কখনো সাংবাদিক ও কখনো ডিবি কর্মকর্তাও পরিচয় দিয়ে থাকে। এই অভিযোগে পুলিশ একবার তাকে আটকও করে।
এই এলাকায় অবস্থিত ব্যারিষ্টার আহমেদ সুলতান চৌধুরী কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এস, এম, আনচার উল্লাহ বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর এটি বন্ধ না হলে আমরা ইপিজেড থানা ঘেড়াও করব প্রয়োজনে সাংবাদিক সম্মেলন করে শত শত জানাব। পরিবেশ রক্ষার্থে প্রয়োজনে ছাত্র-ছাত্রীদের এই বিষয়ে মাঠে নামাতে হবে। এই সব বিষয়ে এসএনটিভিতে ইতিপূর্বে সংবাদওও প্রকাশিত হয়। লিংকটি ক্লীক করলে বিস্তারিত জানা যাবে। https://www.facebook.com/watch/?v=241974013796904
খাওয়া–দাওয়া নয়! অবৈধ মেলামেশাই যেন এখানে মূখ্য। আলো নয়, অন্ধকারই এখানখার বাস্তবতা। যেখানে তরুণ তরুণী থেকে শুরু করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর কিশোরীরা জোড়া জোড়া প্রবেশ করে। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করে থাকেন এখানে । করোনার কারণে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবার শুরু হয়েছে এই আলো আঁধারি রেস্টুরেন্টের রমরমা ব্যবসা।
গ্রীন ফুড রেষ্টুরেন্টের দরজা ঠেলে প্রবেশ করতেই ঘুটঘুটে অন্ধকার। চোখে অনেকটা ঘোর লেগে যায়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে চোখের ঘোর কাটিয়ে ম্যানেজারের ঝাপসা চেহারা দেখা গেলেও ভিতরের কি চলছে তা বুঝা যাচ্ছিল না। কিন্তু পাশ থেকে কয়েকজন ছেলে-মেয়ের শব্দ কানে আসছে। কয়েক পা এগোতেই দেখা গেল বেড়া দেয়ার মত অনেকটা চেয়ার।
আঁটোসাঁটো চেয়ারের সামনে ছোট একটি টেবিল। টেবিলের এক পাশে বসানো চেয়ারের লম্বাটে সিটে অনেকটা ঠাসাঠাসি করে দু’ জনকে বসতে হয়। কিন্তু তাদের চেহারা ভালভাবে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু বুঝা যাচ্ছে এরা স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে রেস্টুরেন্ট মালিকরা এ অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নতুন ওসির কাছে এলাকাবাসী এই অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আখড়া গ্রীণ ফুড রেস্টুরেণ্টটি যেন সিল গালা করে দেয়া হয় সেই প্রত্যাশা করছে।