শাহেদ আহমেদ
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থেকে কাঠগর বাজার পর্যন্ত প্রায় ২০ টার বেশি বিদ্যুতের খুঁটি।সেই বিদ্যুতের খুঁটি এখন পতেঙ্গা বাসীর জন্য গলার কাঁটা।
পতেঙ্গা মহাসড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটির জন্য চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নানান ধরনের শ্রমজীবী মানুষ।যানবাহন চালাতে ও মালামাল বুঝাই গাড়ি নিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন চালকেরা।
সড়কের মাঝখানে খুঁটি থাকার কারণে প্রতিদিনই ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, রাস্তা আগের চেয়ে বড় হলেও বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
মারাত্মক ঝুঁকি হয়ে সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে, বিদ্যুতের ৭৫ কেবি ও তারও বেশি ভোল্টেজ লাইনের খুঁটি।
এতে পথচারী ও এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, রাস্তার ওপর থেকে খুঁটি সরানোর বিষয়ে,চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও বিদ্যুৎ বিভাগ কোন কিছু আমলে নিচ্ছে না।
মহাসড়কের ওপর মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি থাকার কারণে, রাতে খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে প্রায়ই ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সিমেন্ট ক্রসিং, স্টিলমিল বাজার, ও কাঠগর পুরো মহাসড়কের ওপর বিদ্যুতের খুঁটি জন্য যানবাহন চালাতে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন চালকরা।
বিদ্যুতের খুঁটির কারণে দুটি গাড়ি একসাথে ক্রসিং করতে সমস্যায় পড়ছে, এ মহাসড়কে নতুন কোনো চালক আসলে, প্রায় সময় খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার শিকার হন।
স্টিলমিল এলাকার সিএনজি চালক, মোঃ রিপন মিয়া পূর্ব বাংলাকে জানান, রাস্তা থেকে খুঁটি সরানোর ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই, মহাসড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা ব্যবহার করছে মানুষ।
কাঠগর এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ বিল্লাল মিয়া , জনস্বার্থে দ্রুত রাস্তার ওপর থেকে খুঁটি সরানোর দাবি জানান, এজন্য এলাকাবাসী খুব আতঙ্ক নিয়ে আসা যাওয়া করেন।
এ বিষয়ে কথা হয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা এর দপ্তর ব্যক্তিগত সহকারি মোঃ সৈয়দ আহমদ সাহেবের সাথে।
তিনি বলেন, আপনার উদ্যোগ টা খুব সুন্দর, আমাদের কান পর্যন্ত বিষয়টা যখন নিয়ে এসেছেন, আমরা খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে আলোচনা করব, তবে আপনার প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে আমি দিতে পারবো না, আপনি বিদ্যুৎ শাখাতে গিয়ে যোগাযোগ করুন।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ শাখা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার ঝুলন কান্তি দাস সাহেব প্রশ্ন শুনেই মিটিংয়ের ব্যস্ততা দেখিয়ে চলে যান এবং অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও তার সাথে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ বন্দর কর্তৃপক্ষ নির্বাহী প্রকৌশলী, (ই)এস সংস্থাপন মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন বলেন, এটা আমার লাইন না এই লাইন দেখেন রাসেল।
তারপর নির্বাহী প্রকৌশলী (ই)সি,টি, মোহাম্মদ রাসেল সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আপনাকে কে বলেছে ভাই এই কথা আমার কাজ এই বিষয় না অন্য বিষয়।