বাবর মুনাফ, বোয়ালখালী প্রতিনিধি
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। প্রার্থীদের প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছে পাড়া মহল্লা। ‘‘ভোট দেবেন না কলাগাছে, আপনার ভোটের মূল্য আছে’’/ ‘‘২০ তারিখ সারাদিন, …মার্কায় ভোট দিন।’’ যার যার প্রতিকে ভোট চেয়ে অটোরিকশা করে মাইকে নানান ধরণের স্লোগান দিয়ে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রচারণায় মেতেছেন বোয়ালখালী পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ প্রার্থীরা। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বোয়ালখালী পৌরসভা নির্বাচন। ৯ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫৯জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের প্রচার প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছে পৌর এলাকার পাড়াগুলো। পোস্টার-ব্যানার টাঙানো হয়েছে অলিতে গলিতে। তবে এবারের পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ভোট হচ্ছে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জহুরকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সুনিল চন্দ্র ঘোষ জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ জনগনের সুখে দুখে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে কাজ করে আসছি, এবারও ভোটের পরিবেশ যদি সুষ্ঠু থাকে তাহলে মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান তিনি। ৯ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, আমার কেন্দ্রটি স্পর্শকাতর। ভোটার সংখ্যাও বেশী। ভোটাররা যাতে নিরাপদে কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারে সে ব্যাপারে প্রশাসনের প্রতি আহবান থাকবে।
পৌর এলাকার বাসিন্দা প্রকাশ বড়ুয়া বলেন, রাস্তাঘাটে বেহাল দশায় বলে দেয় নামেই বোয়ালখালী পৌরসভা। মশার উৎপাত, ময়লা আবর্জনার ছড়াছড়ি, জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যায় রয়ে গেছে এ পৌর এলাকায়। গেল ৫ বছরে প্রাপ্তি খুব একটা ছিলো না। তাই ক্ষোভ রয়েছে এলাকাবাসীর মাঝে। ৯নং ওয়ার্ডের মফিজ বলেন, ভোট আসায় প্রার্থীরা নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের। নির্বাচনের পর প্রতিশ্রুতির কথা মনে রাখেন না জনপ্রতিনিধিরা। তখন এ সমস্যা ওই সমস্যার কারণে কাজ করতে পারেননি বলে অজুহাত দেখান। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম জানান, সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে ৯ওয়ার্ডের ২৪টি কেন্দ্রের ১৪৯টি কক্ষ প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পৌর এলাকায় ভোটার রয়েছেন ৫৬ হাজার ২৮২ জন। রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য উপকরণ প্রতিটি কেন্দ্রে রাখা হবে।