শাহীন আহমেদ
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায় রাস্তার এখন করুণ দশা।একটু বৃষ্টি হলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সড়ক গুলোর বেহাল দশা হয়ে পড়ছে।
ভাঙা-চোরা এই রাস্তাটি দেখে গ্রামের কোন সড়ক মনে হলেও, এটি চট্টগ্রাম মহানগরীর কাস্টম থেকে ইপিজেড ও পতেঙ্গা সী বিচ এলাকায় যাওয়ার রাস্তা।
খানা খন্দক ও ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে চলছে হাজার হাজার পরিবহণ।
এ অবস্থায় রাস্তায় চলাচল করতে সাধারণ মানুষের যেমন কঠিন ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।
তেমনি যানবাহন চালকদেরও পড়তে হচ্ছে নানান ধরনের বিপাকে।
সিটি মেয়র বলছেন, বর্ষার পরেই শুরু হবে সড়ক মেরামতের কাজ। চালকরা বলছেন, এমন সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে যেকোন সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকেন চালকরা।
এদিকে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, টেকসই সড়ক নির্মাণ না হলে সড়ক নির্মাণের টাকা যাবে পানিতে আসবে না তেমন কোনো সুফল।
বন্দরটিলা এলাকার স্থানীয় লোকেরা অভিযোগ করে বলেন, চট্টগ্রাম শহরের ইপিজেড এলাকায়, সাংবাদিক সচেতন নাগরিক ও প্রশাসন কেউ কখনো সম্ভবত আসেনা । রাস্তার অবস্থা দেখার কেউ নেই।। দুর্ভোগের সর্বোচ্চ সীমা পার করছে এই এলাকায় চলাচল করা মানুষগুলো।
এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করে বলেন, ইপিজেড এলাকা, ফ্লাইওভারের কাজ, রাস্তা ভাঙ্গা, বড় বড় গর্ত, নুড়ি পাথরের ছড়াছড়ি ও কোন কোন অংশে রাস্তা ১৫ ফুটেরও কম।
এতটুকু রাস্তার মধ্যেও বন্দরের বড় বড় লরি গুলোর অবৈধ পার্কিং।
এলাকাবাসী আরও বলেন, সম্পূর্ণ ফুটপাত দখল, ফুটপাতের দোকানদারেরা দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তার উপর, ফুটপাত দখল থাকায় ৬০ পার্সেন্ট মানুষ বাধ্য হয়ে রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করছে।
এ বিষয়ে কথা হয় পুলিশ পরিদর্শক টি আই সেলিম সাহেবের সাথে, তিনি বলেন, রাস্তায় রং পার্কিং আপাতত আমার এলাকায় নেই, আর ফুটপাত বিষয়গুলো দেখেন ক্রাইম ডিভিশন, আমার কাজ রাস্তার গাড়ি চলাচলের বিষয়, তিনি আরো বলেন, রাস্তার যে বেহাল দশা এ কারণে দায়ী ম্যাক্স ও সিডিএ। আমরা অনেকবার ম্যাক্স ও সিডিএ কে জানিয়েছি ও চিঠিও দিয়েছে।
এ বিষয়ে ইপিজেড থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি মোঃ কবিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ফুটপাত বসাই না বরং উঠিয়ে দেই।
আমরা প্রতিদিনই উঠিয়ে দিচ্ছি, একদিক দিয়ে উঠিয়ে দিলে আরেক দিক দিয়ে বসে যাচ্ছে।
কবিরুল ইসলাম আরও বলেন তারপরেও যারা ফুটপাত দখল করে দোকান বসাচ্ছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি, আমিতো নতুন এসেছি একটু সময় লাগবে, আমি বিষয়টা দেখছি ফুটপাতে বিশৃঙ্খলা একদম থাকবে না।