অনিন্দ্য নয়নঃ
রোগীদের হয়রানি,ভূল তথ্য দিয়ে নিরীহ রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিক ও ল্যাবে নিয়ে যাওয়া, কম দামে ওষুধ, টেষ্ট করিয়ে দেওয়া, অন্য চিকিৎসকের কাছে কম খরচে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়ার প্রলোভনে রোগীর আত্মীয় স্বজনদের বিভ্রান্তিতে ফেলা সহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্যাব ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ৭ দালালকে আটক করে জেল ও অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার ৫ সেপ্টেম্বর ২১ ইং সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্যাব-৭ ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এই যৌথ অভিযান চালায়।
অভিযানে আটক ইসতিয়াক মোহাম্মদ ফরহাদ ও মো. মোমিন নামের দুইজনকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আটক অপর ৫ জনের মধ্যে ইকবাল মিয়াকে ২ মাসের কারাদণ্ড, বাদল দাসকে ২ মাসের কারাদণ্ড, মো. সালাউদ্দিনকে ১ মাসের কারাদণ্ড, রাসেল হোসেনকে ২ মাসের কারাদণ্ড এবং আবু জাফরকে ২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্বদানকারী র্যাব-৭ এর মেজর মোস্তফা জামান বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৫ থেকে ৪০ জন গ্রুপের একটি দালালচক্র সক্রিয় রয়েছে যারা রোগীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে কম দামে ওষুধ, ডায়াগনস্টিক টেষ্ট করিয়ে দেওয়া, অন্য প্রাইভেট হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা, অন্য চিকিৎসকের কাছে ভালো চিকিৎসা হবে এমন সব প্রলোভন দেখিয়ে রোগীদের বিভ্রান্তিতে ফেলে অন্য বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক না হয় ল্যাবে নিয়ে যায়। হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। সেই সব তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার সকাল ৭টা থেকে র্যাবের টহল টিম সাধারণ পোশাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান নেয়। তারা এ সময় পর্যবেক্ষণ করে কোন দালাল রোগীকে প্রভাবিত করছে। পরবর্তীতে সকাল ১০টা থেকে অভিযান শুরু করে চিহ্নিত দালালদের ধরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ বলেন, সাত দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা সকাল ১০টা থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আমাদের অভিযান শুরু করি। ভুক্তভোগী রোগীদের সাথে কথা বলি। তারা আমাদের জানায়, দালালদের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হওয়ার বিভিন্ন ঘটনা।