কক্সবাজার, ৩ সেপ্টেম্বর
কক্সবাজারের রামুতে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হাতিকে ফেরাতে প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই হাতির পাল জড়ো হাতি হত্যার স্থানটিতে। ক্রুদ্ধ আচরণও করছে সঙ্গী হারানো হাতির পালটি। গত ৩১ আগষ্ট মঙ্গল থেকে প্রতি রাতে কক্সবাজারের রামু দক্ষিণ খুনিয়াপালং এলাকায় বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদে পেতে হাতি হত্যার পর শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে টুকরো টুকরো করে মাটিচাপা দেয়া কবরের পাশে এমন আচরণ করছে হাতির পাল।
কক্সবাজার দক্ষিন বনবিভাগের রামু ধোঁয়াপালং রেঞ্জাধীন দক্ষিন খুনিয়া পালং এলাকায় ৩১ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে একটি বন্যহাতিকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য হাতির পা ও শূঁড় কেটে খন্ড-বিখন্ড করে মাটি চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। বনবিভাগ ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওইদিন আটক করেন হাতি হত্যায় জড়িত নজির আহম্মদকে।
পরিকল্পিত হাতি হত্যার ঘটনায় আটক নজির আহমদের ৪ ছেলেসহ ১২ জনকে আসামি করে ৩১ আগষ্ট মামলা দায়ের করেন বনবিভাগ।
কক্সবাজারের দক্ষিণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. হুমায়ূন কবির বলেন, খুনিয়া পালং বন বিট এলাকায় সংঘটিত পরিকল্পিত হাতি হত্যার ঘটনা ঘটে। প্রাণ প্রকৃতির প্রতি এমন নির্মমতা খুব দুঃখ জনক। এঘটনার পর পাহাড়ের হাতিগুলো সত্যি একদিকে শোকে কতর, অন্যদিকে ক্ষুদ্ধও হয়ে পড়েছে। গত কয়কদিন রাতে হাতিরপাল ঘটনাস্থলের আশপাশের অনেক ধানক্ষেত ও পানের বরজ ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
এলাকাবাসী বলেন , হাতি হত্যার পর অন্যান্য হাতির পাল বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে। কমপক্ষে ১৫-১৬টি হাতি প্রতি রাতেই অবস্থান করছে ওই স্থানে। হাতির পাল গ্রামে হানা দেওয়ায় তারা রাতে পালা করে পাহারা বসিয়েছেন।
…..