1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
ঝালকাঠিতে বেসরকারি ভাবে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ ভেঙ্গে যাচ্ছে - পূর্ব বাংলা
মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:১০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
১৩ তম রাফি স্মৃতি টি-টুয়েন্টি গোল্ড কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’২৫ ফাইনাল খেলা সম্পন্ন ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা শহীদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি নেতা বিপ্লব মাওলানা শাহ সুফি মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন মমিন (রঃ) এবং কবরবাসী স্বরণে ১ম বার্ষিক দোয়া মাহফিল ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন বায়েজিদ বোস্তামী ও মালেক শাহ (র.) ওরশ সম্পন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ফোরকানিয়া মাদরাসা শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

ঝালকাঠিতে বেসরকারি ভাবে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ ভেঙ্গে যাচ্ছে

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২১৪ বার পড়া হয়েছে

মো. নাঈম ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেশাইনখান বধ্যভ, মিতে স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত স্মৃতি সৌধের ফলকটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। বেশাইনখান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতন সংলগ্ন খালের পাড়ে বধ্যভুমি স্থানে বেসরকারি উদ্যোগে ২০১০ সালর ২১ জুন স্মৃতি ফলকটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের মাতা হাফিজা বেগম ৩০ জন শহীদের নামে নির্মিত ফলকটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেছিলেন। নির্মন কাজে দ্বায়িত ছিলেন স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক আনছার উদ্দিন হাওলাদার। তিনি জানান তৎকালীন সময় স্কুলের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান হিরু নিজস্ব অর্থায়নে ও স্কুলের স্থায়ী দাতা সাংবাদিক রাশিদুল ইসলাম ও জি এম আজাদ পল্টুর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৪ʼলক্ষ টাকা ব্যায় করে শহীদ নামে দৃষ্টি নন্দন এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন। বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলে বেসরকারি উদ্যোগে এটাই বধ্যভুমীতে প্রথম স্মৃতি ফলক নির্মাণ। নির্মাণাধিন স্মৃতিফলকের পাশ দিয়ে ত্রিমুখী খালে তীব্র স্রোতের কারণে মাটি সড়ে গিয়ে স্মৃতি ফলকটি ভেঙ্গে পরার উপক্রম হয়েছে। এবং কয়েকটি স্থানে ইতো মধ্যে ফাটল ধরে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় চলে এসেছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্মৃতি ফলকটি রক্ষা করার জন্য সরকারের কাছে দাবী করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে ২১ জুন পাক হানাদার বাহিনী বেশাইখান গ্রামসহ আসে পাশের গ্রাম জুড়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ধরার জন্য চার দিক থেকে ঘেরাও করে সাড়াশী অভিযান চালায়। অভিযানে এ এলাকার ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা পাকবাহিনীর হাতে আটক হয়। এদেরকে এই খালপাড়ে এনে প্রথমে শারীরিক নির্যাতন চালান হয় এবং পরে তাদেরকে খালের পাড়ে দাড় করিয়ে গুলি করে হত্যার পর ফেলে রাখা হয়। স্রোতের কারণে অনেক লাশ ভেসে যায় এবং পাকবাহিনী চলে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন মৃতদেহ তুলে তাদের স্বজনদের কাছে দেয়। তবে, অনেকেরই মৃত দেহ তখন পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে স্কুলের স্থায়ী দাতা ও ফজলুর রহমান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলাম জানান,স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে ১৯৭২ সালে বেশাইখান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্মৃতি বিজড়িত এই স্থান ঐতিহ্য ধরে রাখতে সকলকে আন্তরিক হতে হবে। সরকারের সুদৃষ্টি আমরা কামনা করছি।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla