শাহীন আহমেদ পতেঙ্গা থেকে
পতেঙ্গা সাগর সৈকত দখল করে গড়ে উঠেছে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা। আদালতের আদেশ অমান্য করে এবং ক্ষমতাসীন দলের শেল্টার নিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা নির্মাণ করছে এসব স্থাপনা। সৈকত এলাকার জমিতে দোকান বসিয়ে ব্যবসায়ীদের ভাড়া দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অঙ্কের টাকা।
সবকিছু দেখেও অনেকটা অসহায় স্থানীয় প্রশাসন ।এই কারণে দিন দিন সৌন্দর্য হারিয়ে পর্যটকদের আকর্ষণ হারাচ্ছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত সি বিচ পর্যটন কেন্দ্র। কোন ধরনের বিধিনিষেধ না থাকায় এখন সৈকতের বড় একটি এলাকা অবৈধ দখলদারদের কবলে।
শুধু অস্থায়ী স্থাপনায় নয়, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজও চলছে জোরে শোরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, এক দোকানদার বলেন, প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। ছোট-বড় মিলিয়ে সৈকতে শতাধিক এর উপরে দোকানপাট রয়েছে বলে দোকানদারেরা জানান। আরো ছোট ছোট দোকান মেইন পয়েন্টে বসিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য চালাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা।
সৈকতে কথা হয় ঢাকা থেকে পতেঙ্গা সী বিচ ঘুরতে আসা মামুন সাহেবের সাথে। তিনি বলেন, সৈকত লাগোয়া দোকানপাট থেকে পর্যটকরা বিভিন্ন ড্রিংকস ও ডাব কিনে খাচ্ছেন।
প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা দোকানের সামনেই ফেলে দিচ্ছে ও সৈকত অপরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে আসা গৃহবধূ আসমা আক্তার জানান, এই প্রথম বার তিনি পতেঙ্গা সী বিচ এসেছেন। তিনি বলেন সৈকত লাগোয়া দোকানপাটে পর্যটকরা বসছেন।
পানি খেয়ে বোতল সৈকতে ফেলছেন। নানা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সৈকতে।
এত অপরিস্কৃত সৈকত শুধু এইসব দোকানের জন্য। তিনি সৈকতের পরিবেশ ঠিক রাখার দায়িত্ব স্বেচ্ছাসেবীদের দেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে কথা হয়, পতেঙ্গা টুরিস্ট পুলিশ থানার ইনচার্জ ইশরাফুল মজুমদার সাহেবের সাথে। তিনি বলেন, পর্যটকরা যেভাবে ভালো মনে করবেন সেভাবেই হবে। যেহেতু এটা সিটি কর্পোরেশনের কাজ তবে আমাদের ওপর যদি কোনো নির্দেশনা আসে, তবে আমরা তা বাস্তবায়ন করব।
ইশরাফুল মজুমদার আরো বলেন, পর্যটকরা যদি এমন অভিযোগ করে তাহলে আমরা তা সিটি কর্পোরেশনের সাথে সমন্বয় করব। সিটি কর্পোরেশন যেভাবে প্লান প্রোগ্রাম করবে সেভাবে বাস্তবায়ন হবে। আমরা টুরিস্ট পুলিশ জান-প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য।