টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে ২৬ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এসময় ওসি প্রদীপের জামিন না মঞ্জুর করা হয়।
আজ বুধবার ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক চট্টগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, ২৬ জুলাই প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা। বুধবার আসামি প্রদীপের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। আদালত একইসঙ্গে ওসি প্রদীপের জামিন না মঞ্জুর করেন এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে গত বছরের ২৩ আগস্ট ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারা, ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলাটির তদন্ত শেষে আদালতে দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে অভিযোগপত্রে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণকে আসামি করা হয় এবং ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়াও দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকা জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয় অভিযোগপত্রে।