1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সীতাকুণ্ডে বৃষ্টির জন্য ইস্তাহার নামাজ আদায় শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্যে ভোটের যুদ্ধ সন্দ্বীপে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার  চট্টগ্রামে র‌্যাবের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৪ চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহাসড়কে অবৈধ গাড়ির অরাজকতা বন্ধ করতে আবারো বিআরটিএ’র অভিযান আমি আজ কথা দিচ্ছি  আপনাদের একা রেখে পালিয়ে যাব না, সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকব, আমি আপনাদের এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই- ওয়াসিকা চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিআরটিএ’র সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা অর্ধলাখ মে মাসেও থাকবে তীব্র গরম, তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সব স্কুল-কলেজ ৭ দিন বন্ধ

স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্কুল কলেজ খোলা হউক

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১
  • ২৬০ বার পড়া হয়েছে

 

মাহমুদুল হক আনসারী

দেড় বছরের অধিক সময় ধরে স্কুল কলেজ সহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে বন্ধ না রাখার কোনো উপায় ছিলোনা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বন্ধ থাকলেও এতো দীর্ঘ সময় এক নাগারে বন্ধ রাখা হয়নি। বাংলাদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনা কালীন এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল এখনো বন্ধ রয়েছে। তবে সরকার ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার একটা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আশা করা হচ্ছে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও পর্যায়ক্রমে খুলো দেয়া হবে। সরকারের এটা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে সচেতন মহল মনে করছে। কারণ দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে ছাত্ররা অলস হয়ে পড়ছে। পড়ালেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। নানা ধরনের অপ্রাসঙ্গিক কাজ কর্মে জড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষা বহির্ভূত কাজে ধাবিত হচ্ছে। পড়ালেখা থেকে সরে গিয়ে অন্য কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হ”েছ। উ”চশ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা হতাশায় ভোগছে। শিক্ষায় জট লাগছে। বয়স বাড়ছে। নানাবিধ সমস্যায় বেকারত্ব সময় পার হচ্ছে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে। এসব থেকে পরিত্রাণের জন্য দ্রুততার সাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ছোট আকারে হলেও পরিচালনা করা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। অভিজ্ঞমহলের মতে সপ্তাহের সাতদিন ক্লাস ভাগাভাগি করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাসকক্ষে ক্লাস নেয়া যেতে পারে। একটি ক্লাসে যে পরিমাণ ছাত্র উপস্থিত  থাকার কথা সেখান থেকে তিন ভাগের এক ভাগ ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত রেখে ক্লাস চালানো যেতে পারে। সপ্তাহে একজন  ছাত্রের জন্য দুই দিন ক্লাস রাখা যায়।  স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছাত্ররা ক্লাসে উপস্থিত থাকবে। শিক্ষক তিনিও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করাবেন। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দিলে এখন আর খুব বেশি ঝুঁকি হবে বলে মনে হয়না। কারণ ইতিমধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ নামতে শুরু করেছে। দেশে প্রতিদিন লাখ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসছে। জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে টিকা নিতে কেন্দ্রসমূহে ভীড় করছে। প্রতিদিন হাজার হাজার  মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করছে। ভ্যাকসিন যে পরিমাণে আসছে সেভাবে জনগণের মধ্যে প্রয়োগ করা হচ্ছে।

এক্ষেত্রে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগ দ্রুততার সাথে করা গেলে তাহলে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংক্রমণের ঝুঁকি কমে আসবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমন্বয়ের সাথে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুফল পাওয়া যাবে। সরকার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করার জন্য কুটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সফলতা অর্জন করেছে। বিশ্বের যে দেশেই ভ্যাকসিন পাওয়া যায় সেখান থেকেই ভ্যাকসিন সংগ্রহ করার জন্য সরকারের কুটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এজন্য সরকারের চেষ্টার কোনো ত্রুটি দেখছিনা। অনেক দেশে ভ্যাকসিন পেতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। জনগণ ঠিক সময়ে ভ্যাকসিন না পাওয়াতে গন্ডগোল হচ্ছে। বাংলাদেশে সরকার যেভাবে জনগণের ধারে ধারে ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে সেটা প্রশংসার দাবি রাখে। আশা করা যায় অল্প সময়ের মধ্যেই এদেশের সব মানুষ ভ্যাকসিন এর আওতায় চলে আসবে। ভ্যাকসিন নিয়ে একটি মহল রাজনীতি করছে। যারা জনগণের কোনো কল্যাণের কাজে নেই। নিজেরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির স্বার্থে জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করছে। তাদের কথা কাজে কোনো মিল পাওয়া যায়না। বাংলাদেশ যখন উন্নয়ন অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন ঐসব মহলের রাজনীতি করার আর কোনো ইস্যু থাকেনা। তাই তারা অহেতুকভাবে ভ্যাকসিন নিয়েও হাস্যকর রাজনীতি করে। জনগণ মহামারী আর ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি দেখতে চায়না। সরকার যেভাবে এ মহামারীতে জনগণের পাশে এসে জনগণকে ভ্যাকসিনসহ প্রণোদনা দিয়ে সাহায্যে এগিয়ে আসছে সেখানে সরকারের সফলতা জনগণের মুখে মুখে। এখন দরকার এদেশের প্রতিটি নাগরিকের ভ্যাকসিন পাওয়া নিশ্চিত করা। খাদ্যে প্রয়োজনীয় চাহিদা জনগণের নাগালে রাখা। এ মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশে কোনো ধরনের অভাব অনটন খাদ্যে দুর্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। মানুষ খেয়েদেয়ে বেঁচে  যারযার মতো জীবন যাপন করছে। এটাই সরকারের বড় ধরনের সফলতা বলা যায়। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা রয়েছে  দেশের সব মানুষের নিরাপদ জীবন যাপন প্রতিষ্ঠার জন্য। পরিস্থিতি ক্রমেই ভালোর দিকে এগুচ্ছে। তাই সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয় হউক। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সেশন জটে যেনো যেতে না হয়। সঠিক সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম সমাপ্ত করা হউক।  শিক্ষা শেষে তাদের জীবনের উদ্দেশ্য পূরণ করার সার্বিক সহযোগীতা দেওয়া হউক। কর্মসংস্থান  ব্যবস্থা করে তাদের শিক্ষাকে কাজে লাগানো সফল বাস্তবায়ন যেনো সরকার করে দেয়। অতএব আর বিলম্ব না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রত্যাশা রাখে দেশের আমজনতা।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla