মো নাঈম ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অভিযান-১০ ও শাহরুখ-২ লঞ্চ পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল। ঝালকাঠির রাজাপুরে এসে শাহরুখ-২ লঞ্চ পাশ কাটিয়ে পেছনে ফেলে যাওয়ার সময় বিষখালী নদীর চরে উঠে যায় অভিযান-১০। ফলে দশদিন ধরে চরেই আটকে আছে লঞ্চটি। এখন পূর্ণিমার জোয়ারের অপেক্ষা করছেন এর সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৩ আগস্ট রাত সোয়া ৩টার দিকে রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়ন চরপালট গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন এলাকায় লঞ্চটি আটকা পড়ে। এতে লঞ্চে থাকা ৪৩৪ জন যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েন।
১৪ আগস্ট রাতে স্বাভাবিক জোয়ারের পানি এলে নামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। ইঞ্জিনের কম্পনে উল্টো দেবে যায় লঞ্চের তলা। অভিযান-১০ এর মাস্টার মো. মাসুদ আলম বলেন, জোয়ারের পানিতে নদী ও চর একই রকম ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই লঞ্চটি ডুবোচরে উঠে যায়। যাত্রীদের ভাড়ার টাকা ফেরত দিয়ে সকালে ট্রলার ভাড়া করে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শনিবার ভোরে জোয়ারে নদীর পানি বাড়ার পর অনেক চেষ্টা করেও লঞ্চটি সরানো সম্ভব হয়নি। বরং ইঞ্জিন কম্পনের কারণে লঞ্চের তলা মাটির নিচে দেবে যায়। দু-একদিন পরেই পূর্ণিমার জোয়ারে পানি বাড়বে, তখন লঞ্চটি নামানো সম্ভব হতে পারে। বড়ইয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন সুরু মিয়া বলেন, স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে লঞ্চ নদীতে নামানো সম্ভব নয়। দু-একদিন পর বড় জোয়ার এলে লঞ্চ নামানো সম্ভব হতে পারে। এক্ষেত্রে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা বা রুস্তমকে প্রয়োজন।