শাহীন আহমেদ পতেঙ্গা থেকে
বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পরেও এখনো জনশূন্য হয়ে আছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত । ভোর হলেই যেখানে দেখা যেত মানুষের সমাগম আজ সেই চিরচেনা পতেঙ্গা সমুদ্র বন্দর জনমানবহীন।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এর প্রকৃতি সেজেছে নিজের রঙে, কমেছে পরিবেশ দূষণ, মানুষের বদলে সেখানে রাজত্ব করছে, শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়া ও পাখিরা । সাগরের গর্জন ছাড়া আর কোন খোলাহলও নেই।
চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দক্ষিনে কর্ণফুলী নদী ও বঙ্গোপসাগরের মিলনস্থলে পতেঙ্গা সৈকতের অবস্থান। এই সৈকত ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন অবকাঠামো ও দোকান-পাট হোটেল রেস্তোরা ও অসহায় মানুষের জীবিকার মাধ্যম।
কিন্তু আজ কতটুকু ভালো আছে এই অসহায় দিনমজুর লোক গুলো, এ নিয়ে কথা হয় এক ক্যামেরা ম্যানের সাথে। তার নাম শাহ আলম । শাহ আলম বলেন আমার ভরসা শুধু একটি ক্যামেরা । এই একটি ক্যামেরা দিয়ে আমার সংসার চলে । শাহ আলম আরও বলেন সারাদিনে যদি ১০ জনের ছবি উঠাতে পারি । কিন্তু এখন সারাদিনে দুইজন লোকও পায় না ছবি উঠানোর জন্য।
আরো কথা হয় কয়েকজন চা বিক্রেতার সাথে । তাদের মধ্যে একজনের নাম জয়নাল। তিনি সীবিচ এলাকায় কয়েক বছর যাবৎ চা বিক্রি করেন। চা-বিক্রেতা জয়নালও একই কথা বলেন।
আরো কয়েকজন দোকানদার বলেন, মানুষ না থাকলেও পতেঙ্গা সৈকতে ডানা মেলেছে প্রকৃতি। সব সময় এই সৈকতে পর্যটকের পদচারণা থাকলেও, করুনা ভাইরাসের কারণে পাল্টে গেছে এখানকার দৃশ্যপাট।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, পর্যটক এর উৎপাত না থাকায় গাছগুলোতে ফুটে থাকা ফুল সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। পাখিদের উড়ে উড়ে কিচির মিচির ডাক। ঢেউয়ের আছড়ে পড়ার দৃশ্য মনে করে দেয়। পদভারে ক্লান্ত প্রকতি এখন ফেলেছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। তা দেখেও যেন মনটা ভরে যায়।