অলিম্পিক লরেল অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস। শুক্রবার ২৩ জুলাই জাপানের রাজধানী টোকিওতে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাকে এ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। ড. মুহাম্মদ ইউনুস ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্ষুদ্র-ঋণ ধারণার মাধ্যমে বিশ্বের দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখা ড. ইউনুস ক্রীড়া উন্নয়নেও বিশাল অবদান রেখেছেন। তাই তাকে এ সম্মাননা দেয়া হলো।
ড. ইউনুসের ব্যাপারে আইওসি প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ বলেন, অধ্যাপক ইউনুস আমাদের সবার জন্যই বিশাল একটি অনুপ্রেরণার নাম।
ইউনূস সেন্টারের ফেসবুক পেজে অলিম্পিক লরেল ট্রফি হাতে নিয়ে ছবি পোস্ট করেন ড. ইউনূস। এ সময় ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, অলিম্পিক লরেল পেয়ে আমি সত্যি সম্মানিত ও অভিভূত। তবে অনুষ্ঠানে আপনাদের সঙ্গে থাকতে না পেরে কষ্ট হচ্ছে।
অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটিকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বিশ্বকে বদলে দিতে নেতৃত্ব দিতে পারেন আপনারা ক্রীড়াবিদেরা। আপনারা বিশ্বের তিনটি বিষয় শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে কাজ করতে পারেন। আপনারাই কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পারেন; দারিদ্র্যের অবসান ঘটাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত করা শূন্যে নামিয়ে আনতে পারেন এবং সবার মধ্যে উদ্যোক্তার শক্তি ছড়িয়ে দিয়ে বেকারত্বের হার শূন্যে নামিয়ে আনতে পারেন আপনারাই।
সব শেষে তিনি বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে আরো শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়তে অলিম্পিকের মিশনের সাফল্য কামনা করছি আমি। সবার জন্য শুভ কামনা। এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য আমি আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এটি আমার কাছে বিশেষ কিছু। সবাইকে ধন্যবাদ।’
২০১৬ সাল থেকে এ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। যেসব ব্যক্তি ক্রীড়ার মাধ্যমে শিক্ষা, সংস্কৃতি, উন্নয়ন ও শান্তিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন তাদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়। অলিম্পিক লরেল অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন ড. ইউনূস।
এর আগে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক লরেল জিতেছিলেন কেনিয়ার সাবেক অলিম্পিয়ান কিপ কেইনো। তিনি দেশটির শিশুদের জন্য স্কুল, নিরাপদ আবাসন ও খেলাধুলার প্রশিক্ষণ দেন। এজন্য তাকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি কেইনো কেনিয়ার অলিম্পিক কমিটির প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৬ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনুস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও ড. ইউনুস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন।