জেলা প্রতিনিধি
সাংবাদিকতার স্বাধীনতা হরণে পুরোনো হাতিয়ার পুলিশি নির্যাতন।যে নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি সাংবাদিক টিপু সুলতান থেকে শুরু করে রাজশাহীর কৃতি সন্তান সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম আকাশসহ দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা, দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি আবদুল হালিম শিমুল,দৈনিক মানব জমিনের ফটো সাংবাদিক কাজলসহ অসংখ্য সাংবাদিক।কিন্তু দিনে দিনে এই ঘটনাগুলো সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে আরও বেশী উৎকন্ঠায় ফেলছে।বিধায় ক্ষমতাসীনদের হাতে সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা কমে আসলেও নির্যাতন কিন্তু বন্ধ হয়নি এখনও। পক্ষান্তরে পুলিশি নির্যাতনের প্রত্যেকটি ঘটনা নিয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নীরবতা ও উদাসীনতা এর অন্যতম প্রধান কারন বলেও মনে করছেন সাংবাদিক নেতারা।
এদিকে লক ডাউনের মধ্যেও রাজশাহীতেও ঘটেছে সাংবাদিক নির্যাতনের মত ঘটনা। অবশ্য এ নিয়ে যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইওরালও হয়েছে। ভিডিওর সুত্রানুসারে জানা যায়, -জাতীয় দৈনিক পত্রিকা মাতৃভূমির খবরের সিনিয়র রিপোর্টার ও নিউজ পোর্টাল উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক এম.এ.হাবীব জুয়েলকে লাঞ্চিত করেন মতিহার থানার এসআই সেলিম রেজা কন্সটেবল জলিলসহ পুলিশ লাইনের হাবিলদার। তবে এখন পর্যন্ত হেনস্থাকারী মতিহার থানার এসআই সেলিম রেজা কন্সটেবল জলিলসহ পুলিশ লাইনের হাবিলদার কুতুবলকে এখনও বিচারের আওতায় আনতে সক্ষম হননি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মানবিক খ্যাত কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। অথচ ঘটনার ভিডিও ফুটেজেও প্রকাশ হয়েছে গনমাধ্যমে। সেই ভিডিওতে স্পস্ট দেখা যাচ্ছে ৩ জন পুলিশ সদস্য কিভাবে বুকে ধাক্কা দিয়ে একজন সাংবাদিকঅকে হেনস্থা করছেন। অবশ্য এ বিষয় নিয়ে প্রতিবাদে নেমেছে রাজশাহীর ৭ টি সাংবাদিক সংগঠন।
অথচ সাংবাদিক নির্যাতন প্রশ্নে, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্তারা এখনও মুঁখে কলুপ এঁটে রেখেছেন।তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে ঐ সকল পুলিশ সদস্যদের বিচার কি সুনিশ্চিত হবেনা ? নাকি কর্তৃপক্ষ ভাবছে যতক্ষন না সাংবাদিক আন্দোলন শুরু না হবে ততক্ষন চুপচাপ থাকাই শ্রেয়। অবশ্য এমন প্রশ্নে অন্যদিকে বাংলাদেশ তৃনমূল সাংবাদিক কল্যান সোসাইটির কেন্দ্রীয় বিভাগীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম সাফ জানিয়ে দিয়েছেন – রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের দূর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আমাদের লেখনী চলছে এবং চলবে। কিন্তু তারপরেও যদি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না গ্রহন করেন তবে আমরা স্বরাস্ট্র মন্ত্রীর কাছে বিচার চাইবো। তারপরেও দূর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যদের বিচার চাইতে বিন্দুমাত্র পিছপা হবোনা।
অন্যদিকে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ তৃনমূল সাংবাদিক কল্যান সোসাইটির রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি এম.এ.হাবীব জুয়েলকে হেনস্থাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম চপল বলেন – হাবীব জুয়েলকে লাঞ্চিত করার ১৫ মিনিটের মধ্যে সার্বিক বিষয়টি রাজশাহী মতিহার থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান ও মুঠোফোনে মতিহার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি অবগত করেছি আমরা।কিন্তু তারপর হঠাৎ করেই দেখি এসআই সেলিম রেজা ৩ জন সাংবাদিকের নামে একটি জিডি করে ফেসবুকে সেই জিডির কপি আপলোড করেন, যা পুলিশী আইনের পরিপন্থি। এ বিষয়েও কোন পদক্ষেপ নিতে পারেননি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্তারা। তাদের এই অপারগতার কারনেও হয়তো আমাদের কঠিন আন্দোলনে যেতে হতে পারে। অথচ এই রাজশাহীতেই কয়েক মাস আগেও একজন সার্জেন্টেকে স্থানীয় এক যুবক গায়ে হাত তুললে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঐ যুবককে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক এবং ফোন ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে ঐ যুবক গ্রফতার হয় ১২ ঘন্টার মধ্যে।
তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে একজন সাংবাদিকের গায়ে যখন পুলিশ হাত তুলল তখন মাননীয় পুলিশ কমিশনার মহোদয়সহ রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্তারা পিছুপা হচ্ছেন কেন।
তাই সকলের প্রশ্ন রাজশাহীতে কি সাংবাদিক নির্যাতন স্বীকৃত?