1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
পাহাড়তলীতে রসুল আহমদের ৪ ছেলে ও ২৯ জনের মাদক কারবার সিন্ডিকেট, কেউ জানে কেউ জানে না - পূর্ব বাংলা
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম এডভোকেটস্ ক্লার্ক এসোসিয়েশনের সাধারণ সভা ও শোক প্রস্তাব মাইনাস টু ফর্মুলা জীবনেও পূরণ হবে না-আমীর খসরু ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা (৩৪১ ) মুক্তিযুদ্ধ ,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্ঠা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক সমীপে ব্র্যাকের উদ্যোগে উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থান ও ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্তকরণ কর্মশালা সম্পন্ন লন্ডনে খালেদা জিয়া অবশেষে দেখা হলো মা-ছেলের ৬৫৩১ জন সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ স্থগিতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বৈষম্যহীন নতুন বছর ২০২৫ আয়না ঘর বা ভাতের হোটেল কিছুই থাকবে না ডিবি কার্যালয়ে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ২২তম ঐতিহাসিক পবিত্র দরসুল কোরআন মাহফিলের শেষ দিনে- আল্লামা ছৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী পবিত্র কোরআনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে সাম্য ও শান্তির ফল্গুধারা রাজ ধনেশ বংশবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে পরিবেশ ও বিচরণ ক্ষেত্র রক্ষণাবেক্ষণ না হলে উদয়ী পাকড়া ধনেশও কমব

পাহাড়তলীতে রসুল আহমদের ৪ ছেলে ও ২৯ জনের মাদক কারবার সিন্ডিকেট, কেউ জানে কেউ জানে না

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১
  • ৬৭৫ বার পড়া হয়েছে

 শাহীন আহমেদ ও শেখ শফি
 পাহাড়তলী থানা এরিয়া জুড়ে চলছে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা। চলছে জুয়ার আসরও। মাদক ব্যবসায়ীদের রয়েছে অবৈধ অস্ত্র ও কিশোর গ্যাং। এই কারণে সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখও খোলে না। দূর্নীতিবাজ কয়েকজন পুলিশের সাথে এই মাদক কারবারীদের রয়েছে গভীর সখ্যতা । ফলে নীতিবান পুলিশও অনেক সময় এদের ঘায়েল করতে পারে না। পুলিশের জনৈক ক্যাশিয়ার মাসুদ ও কয়েকজন ঘুষখোর পুলিশ এসব মাদক কারবারীদের আশ্রয় দেয় বলে একাধিক সুত্র দাবী করেছে।
 পাহাড়তলী পুরো এলাকায় মাদক কারবার  ৪ ছেলেকে দিয়ে পুরোদমে চালিয়ে আসছেন জনৈক রসুল আহমদ । ৭০ বছরের বয়োবৃদ্ধ এই ব্যাক্তি  স্ক্রাফ ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসায় জড়িত । তার আদত বাড়ী নোয়াখালী । তার এই দুই নম্বরী ব্যবসার কথা কেউ জানে আবার কেউ জানেও না। লোকদের  বলে বেড়ায় টিনশেট ঘর ভাড়া দিয়ে সে সংসার খরছ চালায়। টেকনাফ ও বান্দরবান থেকে তার মেয়ের জামাই রাব্বী এসব মাদকের চালান আনে বলে খবর পাওয়া গেছে। সঞ্জয় নামক এক ব্যাক্তি তাদের হয়ে কাজ করে। সে হিন্দু হলেও পারভীন নামক এক মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করে।
জানা গেছে,  রসুল আহমদের ছেলে হেলাল, আলমগীর, শিমুল, সুজন ও  এরা সবাই গাঁজা, মদ ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। শিমুল ডাব ও তাল ব্যবসার আড়ালে গাঁজা বিক্রি করে থাকে। সে মোটর সাইকেল চুরির অপরাধে ইতিপূর্বে আটকও হয়েছে। রসুল আহমেদের পুরো পরিবার এই মাদক ব্যবসায় জড়িত। এলাকার সাধারণ মানুষদের সাথে কথা এই তথ্য পাওয়া গেছে। এরা এলাকায় দাপটের সাথে চলাফেরা করে। এরা বলে বেড়ায় সব প্রশাসন তাদের সাথে চুক্তিতে যোগাযোগ রাখে।
রসুল আহমদের ৪ ছেলের বিরুদ্ধে রয়েছে এন্তার অভিযোগ। মামলাও আছে। রয়েছে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির বহু নজিরও। সরকারী ও বেসরকারী সংস্হার বিভিন্ন দপ্তরেও  রয়েছে অনেক অভিযোগ।

‘ মিলনি” নামের এক মহিলা এবং আবুল কালামের পুত্র রেজাউল করিম, মুন্নি বেগম, পারভিন আক্তার  এরা সবাই ইয়াবা থেকে শুরু করে হিরোইন পর্যন্ত বিক্রি করে থাকে। ২৯ জনের একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ এসব কারবারে জড়িত । এক সময় জনৈক আবুও এই কারবার নিয়ন্ত্রণ করত। এখন আবুর পরে সন্ধীপের সিরাজ ও vশাহিন মাদক কারবার করে। আরেক মাদক কারবারী জহির আহমদ এখন কারগারে। বর্তমানে জহিরের বউ তার হয়ে মাদক বেচাবিক্রি করে থাকে। এ ছাড়া কমলার ছেলে রুবেল, আরেক রুবেল যার মায়ের নাম পারুল, ছেরু মিয়ার ছেলে অপু, রেজাউল করিমের ভাই আমিন. সোলায়মান ও সোলায়মানের স্ত্রী ‘সুন্দরী’ ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করে থাকে। জানা গেছে, এখানে প্রতি ফোটলা গাঁজা ৫০ টাকা ও প্রতিটি ইয়াবা ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করে থাকে।

এদিকে, রেজাউল করিমের ভাই আমিনের সহকারী মুরগী ফার্মের মিলন, জামালের ছেলে ইয়াছিন ও তার সাথে আরো ৪/৫জন, শাহ আলম প্রকাশ ডাক্তার, কালা মিলন বা সোর্স মিলন কিংবা কেউ বলে কান কাটা মিলন এরা প্রকাশ্য ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করে। আজম গলির নেতা শাহিনের ভাই জমির এদেরকে পাইকারী ইয়াবা এনে দেয়। পাইকারী ইয়াবা  ৯০-১০০ টাকায় সে তাদের দেয়। পাবেলের ভাড়া ঘরে থাকে আখতার, বিহারী কলোনীর নেতা মুরাদের ভাই পাগলা মানিক হেঁটে হেঁটে ও প্রকাশ্য ইয়াবা এবং গাঁজা বিক্রি করে। জানা গেছে, জাগির মিস্ত্রীর বড় মেয়ে জানু’র জামাইয়ের দোকানে এসব ইয়াবা ও গাঁজা জমা রাখে।

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিহারী কলোনির বাসিন্দা কয়েক জন মধ্যবয়সী মহিলা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের মেয়েরা এই রেল লাইন দিয়ে অফিসে আসা যাওয়া করে। চলার পথে মেয়েদের কে জঘন্য ভাষায় নানাভাবে হয়রানী করে এতে  কিছু বললে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায়। এ বিষয়ে কয়েক বার থানা পুলিশকে জানালেও কোন ফল পাওয়া যায়নি বলে তারা আমাদের প্রতিবেদককে অভিযোগ করে।
বিহারী কলোনির জনৈক বাসিন্দা  বলেন এই রেল লাইনের উপরে চলে প্রকাশ্য মাদক বেচাকেনা, রেল লাইনের উপরে বসে প্রকাশ্যে করছে মাদক সেবন, ওরা যেন কাউকে তোয়াক্কা করে না, মাঝে মাঝে ঘটে ছিনতাই এর মতো ঘটনাও।
কথা হয় পাহাড়তলী রেল স্টেশনের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সাথে, ওই ব্যবসায়ী বলেন এই এলাকায় সব কিছুই চলে বিশেষ করে দিনের চিত্র যেমনই হোক রাতের চিত্র খুবই ভয়াবহ।কয়েকজন হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী  বলেন,আপনি এখানে কিছু সময় থাকেন তাহলে দেখতে পারবেন কিভাবে পুলিশ টাকা নিতে আসে ও টাকা নেয়।
  এই বিষয় নিয়ে কথা হয় পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ  হাসান ইমাম সাহেবের সাথে। এ বিষয়ে হাসান ইমাম বলেন আমরা প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছি,  গ্রেপ্তারও করছি । আপনি দেখিয়ে দেন-আমরা গ্রেপ্তার করব। ওসি হাসান ইমাম আরো বলেন এই তো কালকেও একজনকে গ্রেপ্তার করছি মামলা ও দিয়েছি ।আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি, মাদকবিরোধী অভিযানে আমাদেরকে ইনফরমেশন দিন।
শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla