আল-হেলাল
নাম তার মোঃ আলম সাব্বির। পা দিয়েছেন ৪৭ বছরে। পেশায় তিনি একজন সার্বক্ষনিক সাংবাদিক। কিন্তু এ পেশার উপর নির্ভরশীল নন। আপাদমস্তক একজন পরিশ্রমী খেটে খাওয়া মানুষ তিনি। চেহারায় কিছুটা কালো হলেও মনটা তার অতি ভালো। নিজ জমিতে আখ চাষ,বালু পাথর ব্যবসা,গুড় উৎপাদন থেকে শুরু করে খাদ্যশস্য ও সব্জী চাষেও তার সমান দক্ষতা রয়েছে। এই পরিশ্রমী মানুষটির জন্ম সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়ের গড় গ্রামে। ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ঐতিহাসিক যাদুকাটা নদীর পূর্ব পাড়ের গর্বিত বাসিন্দা মরহুম মোঃ আব্দুল করিম তার জন্মদাতা পিতা,মাতা আজিরুন নেছা। ১৯৭৪ সনের ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহন করেন। ১৯৯২ সালে বাদাঘাট পাবলিক হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৯৪ইং সনে বাদাঘাট কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে পদার্পন করেন সাংবাদিকতা পেশায়। ১৯৯৩ সালে ইন্টারমিডিয়েট ক্লাসে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ বিভাগীয় শহর সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক সিলেটবানী পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশায় যোগদান করেন। পরে পর্যায়ক্রমে জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজ,আঞ্চলিক দৈনিক যুগভেরী,সুনামগঞ্জ থেকে প্রকাশিত স্থানীয় সাপ্তাহিক সুনামগঞ্জ সংবাদ,গ্রাম বাংলার কথা,আজকের সুনামগঞ্জ,সাপ্তাহিক স্বজন,সাপ্তাহিক অনল পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন। বর্তমানে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক ও সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক শ্যামল সিলেট পত্রিকার তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে চলমান দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। একাধিক বারের নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক হিসেবে তাহিরপুর প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শুধু সাংবাদিকতাই নয় কাজের ফাকে ফাকে ২০০১ সন থেকে গান গাওয়া ও গান লেখার দিকেও মনোনিবেশ করেন তিনি। ২০০৪ সন থেকে হযরত শাহ আরেফিন (রহ:) মাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে গড়ে তুলেছেন হযরত শাহ আরেফিন (রহ:) ভলান্টিয়ার ও খাদেম কল্যাণ সমিতি নামে আরেকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই সংগঠনটি সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর হতে নিবন্ধন লাভ করেছে। তার নেতৃত্বে হযরত শাহ আরেফিন মাজারের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। চলতি বছর করোনা সংক্রমন ঝুঁকির কারণে হযরত শাহ আরেফিন মোকামে ওরস উৎসব করতে পারেননি। এ জন্য শাহ আরেফিন ভক্ত আশেকানদের প্রতি তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।
আশা প্রকাশ করছেন অন্ধকার কে আলো করে সামনে যে আলোকিত দিন আসবে সেই সুন্দর শুভক্ষণেই কাঙ্কিত ওরস উৎসবটি আয়োজনে তিনি নেতৃত্ব দেবেন। তিনি রচনা করেছেন প্রায় অর্ধ শতাধিক গান। সংখ্যার বিচারে কম হলেও গুন ও মানের বিচারে তার রচিত গানের কদর একদিন হবেই সেদিন বেশী দূরে নয়। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সাংবাদিক গীতিকার মোঃ আলম সাব্বির এর সাফল্য কামনা করে তার রচিত একটি গানের উল্লেখ করে আলোচ্য প্রতিবেদনের ইতি টানলাম।
“ওরে যাবে যদি শাহ আরফিনে,মস্তুলে লাগাও বাদাম ও ভাই মস্তুলে লাগাও বাদাম। গাওরে ও মন ভক্তিসুরে ওলি আল্লাহর শান,আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু। মেঘালয়ের পাদদেশে,বাবা শাহ আরফিনের মাজার আছে
ফকির দরবেশ কায়োমনে,ক্বলবে ঝপে আল্লাহর নাম।।
চৈত্র মাসের দুল পূর্ণিমায়,শ্রী অদ্বৈতধাম আর শারফিন আস্তানায় আরে দুই সাধকের মিলন মেলায়,ঝপছে আল্লাহ হরি নাম।। আলম সাব্বির সেবা দিতে,আছে বাবার আস্তানাতে আশিকগনে চায় যে পেতে,শুধুই দয়া কৃপা দান।।