৬০০ কিলোমিটার দূরে গভীর রাতে লাশ দাফনের চেষ্টা
মৃত্যুর ঘটনা জানেনা স্থানীয় প্রশাসন-এলাকা বাসির মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
ইপিজেড প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম ইপিজেড থানাধীন ব্যাংক কলোনী এলাকায় আমির সাধুর ভাড়া বাড়ীতে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুবরণ করেছে। ওই মৃত্যু ব্যাক্তির ভুয়া মৃত্যুর সনদ দেখিয়ে ৬০০ কিলোমিটার দূরে নিয়ে লাশ দাফনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, বরগুনা জেলা বামনা থানার আমতলী গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদ এর একমাত্র পুত্র আল আমিন গত ২৪ এপ্রিল শনিবার নিজ ভগ্নি পতির বাসায় তার রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। তিনি চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকায় পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন। এলাকাবাসি ও আশেপাশে সাধারণ লোকজন জানায় আল আমিন এর মৃত্যুর পরে তার দুলা ভাই জাহাঙ্গীর প্রকাশ আনসার জাহাঙ্গীর (৪৫) ও আজিজ (৪২) ও তার স্বজনরা মিলে তরিগরি করে বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয়তার মাধ্যমে থানা প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিকে না জানিয়ে একজন কর্মাশিয়াল এমবিবিএস ডা: আনিসুর রহমানের কাজ থেকে ভুয়া মৃত্যুর সনদ বানিয়ে আল আমিন এর মরদেহ গ্রামের বাড়ী বামনার আমতলী গ্রামের উদ্দেশে নিয়ে যায়। এলাকাবাসি ও সচেতন নাগরিকেরা জানান যে, হঠাৎ আল আমিন এর মৃত্যুর বিষয়টি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে লাশ টি নেয়ার কারণ কি? এ নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে মৃত্যুকে ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
তা ছাড়া ইপিজেড থানা থেকে ঘটনা স্থল প্রায় ২০০ গজ দূর হলেও থানা বিষয়টি সর্ম্পকে অবগত নয় বলে জানা যায়। জাহাঙ্গীর দিনের সার্বক্ষনিক থানার আশেপাশে আনা গোনা থাকলেও থানা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করার প্রয়োজনও মনে করেনি সে। মাঈনুল নামে এক ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, আল আমিনের মৃত্যুর পরে তার বোনের বাসায় দুলাভাই জাহাঙ্গীর ও আজিজ সহ ইপিজেড থানার কথিত সো্র্সদের আনাগোনা করতে দেখা যায়। ওই মুহুর্তে সাধারণ মানুষ ও এলাকাবাসিকে বাসার আশে পাশে যেতে দেয়া হয়নি। তরিগরি করে ওই দিন লাশ বাড়ীর উদ্দেশে ২টি এম্ব্যুলেন্স পরির্বতন করে নেয়ার কারনে আল আমিন মৃত্যু নিয়ে রহস্য আরো ঘনিভূত হচ্ছে। এইটা কি মৃত্যু না পরিকল্পিত হত্যাকান্ড? এই নিয়ে এলাকায় ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায় আল আমিন এর লাশ এম্ব্যুলেন্স পরিবর্তন করে অন্য একটি এম্ব্যুলেন্স করে যাওয়ার কারণে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বামনা থানার পুলিশ ও স্থানীয় সংবাদিকরা গাড়িটি গতিরোধ করে লাশের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা দেখাতে না পারায় পুলিশের সন্দেহ হলে ওই সময় জাহাঙ্গীর ও স্বজনরা লাশটি দেখাতে অস্বীকার করে এবং লাশ আমরা দেখাতে পারবো না সবাই জানে আল আমিন এর মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাকে। পুলিশ ও সাংবাদিক এর প্রশ্নের মুখে জাহাঙ্গীর বলেন আসলে হার্ট অ্যাটা নয় তার মৃত্যু হয়েছে আত্ন হত্যায় এবং ডাক্তারের সনদটি ভুয়া বলে জাহাঙ্গীর জানায়।
পরে বামনা থানা পুলিশ ও সাংবাদিকদের বলেন- আপনাদের কি সমস্যা ও কি প্রয়োজন তা আমাদের বলেন, আমরা ব্যবস্থা করে দেব। পুলিশ তার কথায় কর্ণপাত না করে জাহাঙ্গীর ও আজিজ কে থানায় জিজ্ঞাসা বাদ করার জন্য নিয়ে যায় এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মর্গে প্রেরণ করেন। এই নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই বিষয় বামনা থানার অফিসার ইনচার্য হাবিবুর রহমান মুঠোফোনে জানান, লাশ নিয়ে আসার জন্য তাদের কাছে উপযুক্ত কাগজ পত্র পাওয়া যায়নি। মৃত্যুটি আমাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হয়নি। তাই লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, একটি মৃত ব্যক্তির লাশ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিতে চাইলে আইনগত ভাবে নিকটস্থ থানা অথবা ম্যাজিস্ট্রেট এর সনদ পত্র প্রয়োজন যা তাদের কাছে ছিল না।