1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহাসড়কে অবৈধ গাড়ির অরাজকতা বন্ধ করতে আবারো বিআরটিএ’র অভিযান আমি আজ কথা দিচ্ছি  আপনাদের একা রেখে পালিয়ে যাব না, সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকব, আমি আপনাদের এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই- ওয়াসিকা চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিআরটিএ’র সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা অর্ধলাখ মে মাসেও থাকবে তীব্র গরম, তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সব স্কুল-কলেজ ৭ দিন বন্ধ ইসরাইলি মন্ত্রীর টুইটকে ঘিরে তোলপাড় সীতাকুণ্ডে ৫টি চোরাই গরু ১টি পিকাপ একটি দেশী অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩ জন বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় আলিয়া জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো সমাজসেবক মুহাম্মদ ইয়াছিন সওদাগর সংবর্ধিত

ধোপাজান নদীতে জব্দকৃত নৌকা থেকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন

আল-হেলাল
  • প্রকাশিত সময়ঃ রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১
  • ৬৩৭ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে রাতের বেলা ড্রেজার মেশিন দ্বারা বালি পাথর উত্তোলনের প্রতিযোগীতার পাশাপাশি দু উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে দিনের বেলা ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানও পরিচালিত হচ্ছে। শত কর্মব্যস্ততার মাঝে উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা দেদারছে পরিচালনা করছেন ধরপাকড় অভিযান।
জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের বৈঠাখালি এলাকায় বেআইনীভাবে ডাম্পিং করে রাখা ৪৩ হাজার ঘনফুট বালি জব্দ করার পর নীলাম দিয়ে ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এর আগে গত ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের আদাং বাজারে বেআইনীভাবে বালি পাথর উত্তোলনের অভিযোগে ৬টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা,বলগেড ও কার্গো আটক করার পর উক্ত অবৈধ নৌপরিবহনগুলো থেকে ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। দু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা,পুলিশ ফোর্স ও বিজিবিদের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফ আদনান। ২৫ এপ্রিল রবিবার বৈঠাখালী এলাকায় আটককৃত আরো কিছু অবৈধ বালি পাথর আমদানীকারি নৌযানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমরান শাহরীয়ার।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল বুধবার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের জিনারপুর বাজারে আটককৃত ২৫টি বালু পাথরবাহী নৌকা থেকে সাড়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা আদায়সহ ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নৌকাগুলো হতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে উক্ত জরিমানা আদায় করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আরিফ আদনান। এসময় সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী,দু থানার পুলিশ বিভাগের এসআইসহ পুলিশ ফোর্স ও বিজিবির ডলুরা ক্যাম্প প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমরান শাহরীয়ার ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফ আদনান এর নেতৃত্বে গত ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার দিনব্যাপী ধোপাজান নদীতে টাস্কফোর্স এর অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাদিউর রহিম জাদিদ,সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্বজন মোল্লা,অফিসার ইনচার্জ সুরঞ্জিত তালুকদার, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই আমির হোসেন ও ডলুরা বিওপি কোম্পানী কমান্ডারসহ বিজিবির সদস্যবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে ২৫ টি বালি ও পাথর ভর্তি ইঞ্জিন নৌকা আটক করা হয় এবং প্রায় ২০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। পাশাপাশি একজনকে এক মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
উল্লেখ্য ধোপাজান নদীতে দিনে ও রাতে আবারও বেপরোয়াভাবে শুরু হয়েছে বোমা মেশিন দিয়ে বালু পাথর উত্তোলনের মহোৎসব। গত ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টা থেকে ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১৪টি বালিপাথরবাহী নৌকা আটক এবং ১০ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রায় ৫৬টি নৌকাকে মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে আর্থিক জরিমানা আদায় করা হয়। এরপর হঠাৎ করে ধোপাজান নদীর মুখ থেকে পুলিশ ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। পুলিশ ক্যাম্প প্রত্যাহারের খবরে বালু পাথর উত্তোলনে এবার ব্যবহার করা হচ্ছে পরিবেশ বিধ্বংসী বোমা ও ড্রেজার মেশিন। সীমান্ত এলাকার জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় ডলুরা বিজিবি ক্যাম্প থাকলেও জেলা প্রশাসনের নিষিদ্ধ এলাকায় অবৈধ বালু পাথর উত্তোলনে বিজিবিতো দূরের কথা কেউ দিচ্ছেনা বাধা। জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্টের অভিযানও হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ধোপাজান চলতি নদীর ভেতরে সীমান্ত সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকা হতে জেলা প্রশাসনের বিধি নিষেধ অমান্য করে চোরাইভাবে অবৈধ পন্থায় বালি পাথর উত্তোলন করে যাচ্ছে সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের কাইয়ারগাঁও,ডলুরা,সুরমা ইউনিয়নের হুরারকান্দা,বালাকান্দা,সাহেবনগর এবং বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের জিনারপুর,ভাদেরটেক ও মনিপুরিহাটি গ্রামের বালু পাথর ব্যবসায়ীরা। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা বিনা বাধায় প্রতিদিন বড় বড় বালু পাথরবাহী বলগেড,ভারী ইঞ্জিন নৌকা দ্রুতবেগে ফিল্মি স্টাইলে নদীতে অনধিকার প্রবেশ করিয়ে ৫ থেকে ৬ ঘন্টার ব্যবধানে বালি ও পাথর বুঝাই করে আবার ধোপাজান নদী হতে বের হয়ে সুরমা নদীতে এসে উজানের দিকে নিরাপদে বের হয়ে যাচ্ছে।
ঘটনাগুলো জেনে জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এর নির্দেশে চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্সের উদ্যোগে ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করা হয় ধোপাজান নদীতে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন সক্রিয়ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla