নুর মোহাম্মদ
আমাদের দেশের সোনার ছেলেরা মা,বাবার মুখে হাসি ফুটানোর জন্যে, প্রিয়তমা স্ত্রী,পুত্র,কন্যার ভরপোযনের জন্যে কিংবা নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের আসায় জায়গা,জমি,স্বর্ণালংকার বিক্রি করে বিদেশের মাটিতে পাড়ি জমায়। বিদেশে হাজারো কষ্ঠ বুকে ধারণ করে ,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে কাজ করে,তিল,তিল করে ১০০/৫০০/১০০০ দিনার/রেয়াল/দিরহাম/পাউন্ড/ডলার ইনকাম করে । নুন্যতম খরচের টাকা হাতে রেখে বাকী টাকা দেশে পাঠিয়ে ‘রেমিটেন্স যোদ্ধাদের’ খাতায় নাম লিখায়।
এই রেমিটেন্স এর টাকার বদৌলতে এবং লক্ষ কোটি মহিলাদের পরিশ্রমের (গার্মেন্টস শিল্পের) বিনিময়ে এবং মাননীয় নেত্রীর ইস্পাত কঠীন সিদ্ধান্তের ফলে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে চলেছে আমাদের প্রিয় জন্ম বাংলাদেশ ।
বিগত কয়েক বছর যাবৎ লক্ষ্য করেছি ,এই রেমিটেন্স যোদ্ধারাই যখন বিমান বন্দর দিয়ে যাতায়াত করে তখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ,বিভিন্ন অনৈতিক, অযোক্তিক, অঘোশিত অজুহাতে সবচেয়ে বেশী বিড়ম্বনার কিংবা হেনস্তার শিকার হন রেমিটেন্স যোদ্ধারাই। যা মোটেই কাম্য নয়। যখন প্রবাসী ভাইয়েরা কষ্ট পায় ,তখন আমার হ্রদয়ে রক্তকরণ শুরু হয় । তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিমান মন্ত্রনালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বৃন্দের কাছে সবিনয়ে নিবেদন করছি ,আপনারা প্রবাসীদের কে বিমান বন্দরে অযথা হয়রানি না করে, তাদেরকে সহযোগিতা করুন, বিরুপ আচরণ থেকে বিরত থাকুন, বাংলাদেশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করুন,রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ কে উন্নত রাস্ট্রের কাতারে নিয়ে যেতে সবাই সচেস্ট হোন। লেখকঃ সাবেক ব্যাংকার। উপদেষ্ঠা , দুবাই আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।