ফজলুল গণি মাহমুদ চট্টগ্রামের বিখ্যাত ও সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৪৯ খৃস্টাব্দেে ৪ টা মে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় জম্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম খান সাহেব মৌলভী আব্দুল হালিম চৌধুরী বিএল চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক, সংস্কারক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। বড় দাদা মরহুম মৌলভী আহসানুল্লাহ চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলা জমিদার এসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। তাঁর নানা মরহুম আবদুল গণি সওদাগর বিশিষ্ট দানবীর ও সমাজসেবক ছিলেন।তাঁর জ্যাঠা মরহুম আবদুল জলিল সাহেব প্রকাশ – বালু শাহ চট্টগ্রামের একজন বিশিষ্ট অলি।
ফজলুল গণি মাহমুদের মামা খান বাহদুর ফরিদ আহমদ চৌধুরী পাক ভারত উপমহাদেশে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও দানবীর ছিলেন। তাঁর বড় ভাই মহহুম সিরাজুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিল্পীপতি ও সমাজ সেবক ছিলেন। তাঁর ভাইপো ব্যারিস্টার আনিসুর ইসলাম মাহমুদ বর্তমান সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য। তাঁর অপর বড় ভাই চৌধুরী এন.জি মোহাম্মদ কালাম চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নেতা ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন।
ফজলুল গণি মাহমুদ চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও সিটি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। তিনি আন্দরকিল্লার নজির আহমদ চৌধুরী রোড মুসলিম এডুকেশন সোসাইটির দীর্ঘ ৮ বৎসর নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশ রিফামার্স ফোরামের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহ-সভাপতি। ১৯৬৩ ও ৬৪ সালে ওপেন জেনারেল লাইসেন্স রিভিউ অর্গেনাইজেসন চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি হিসেবে তৎকালীন বানিজ্য মন্ত্রী ওয়াহিদুজ্জামান এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অনেক বাণিজ্যিক সুবিধা আদায় করেন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর নাগরিক অধিকার সংরক্ষন সমিতির আহবায়ক ও পরে সভাপতি হিসেবে ৫ বছর নিরলসভাবে কাজ করেন।
অফিস আদালতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বদা স্বোচ্ছার ছিলেন এবং ট্রাফিকের শৃংখলা ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে বহুবার বৈঠক করেছিলেন তিনি। চট্টগ্রাম টেলিগ্রাফ রোড থেকে অনেক খারাপ মেয়েদের বিতাড়িত এবং ওই রোডে অবস্হিত শীতল ঝর্ণাকে পৌরসভার মাধ্যমে ২ বার মেরামত করেন ।যার পানি পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজারী লাইন, কেসিদে রোড, জহুর হকার মার্কেটের ১০ হাজার নাগরিক ব্যবহার করে। তিনি উত্তর সাদেক নগর সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সভাপতি পদে থাকা কালিন সময়ে স্কুলকে পুনঃনিমার্ণ করে ২য় তলায় উন্নীত ও সরকারী এফিলিয়েশন করান। কৃষি কাজের উন্নয়নের জন্য তিনি নিজ সাদেক নগর গ্রামে গভীর নলকুপ স্হাপন এবং স্বনির্ভর খাল খনন করেন।
তিনি মা ও শিশু হাসপাতাল ,যক্ষা নিরোধ সমিতি চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ রোগী কল্যাণ সমিতি, মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম, মহিলা উচ্চ বিদ্যালয় মির্জাপুর হাটাজারী চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতি, মুসলিম এডুুকেশন সোসাইটি, কনজ্যুমার রাইটস সোসাইটি বাংলাদেশ,কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, সভাপতি মরহুম খান সাহেব মৌলভী আবদুল হালিম, বিএল স্মৃতি ও আনোয়ারা ডাায়াবেটিক হাসপাতালের আজীবন সদস্য ।
খেলাধুলার প্রতি অনুরাগী এই আলোকিত ব্যাক্তি সাতার, কেরাম ও ব্যাটমিন্টনে দক্ষ এবং বহু পুরস্কার লাভ করেন। তিনি এয়ার ক্যাডেট ট্রেনিং এ পশ্চিম পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিলেন এবং ল্যাণ্ড ক্যাডেট স্কাউট ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে কর্ণফুলির ঢেউ কবিতাগুচ্ছ, কর্মফল সাহিত্য সংকলণ, বাংলাদেশের বর্তমান অতিত ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি ও রাষ্ট্র শাসন, ঐতিহাসিক বন্দর নগরী চট্টগ্রামের গুরুত্ব ও উন্নয়ন প্রসঙ্গে বৃটিশদের ভারতবর্ষে আগমন ও ভারত শাসন, সততার পুরস্কার ও বাংলাদেশের অতিত ও ভবিষৎ রাজনীতি ও উন্নয়ন প্রকাশিত হয়। তিনি নিয়মিত পত্রিকায় লেখালোখি করেন এবং বিভিন্ন সমাজ সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি একজন নির অহংকার ও সাদা মনের মানুষ ।