শাহিন আহমেদ
পাহাড়তলী থানার আশে পাশে এসব কি হচ্ছে ? এসব বিষয়গুলি নিয়ে কথা বললেই গণমাধ্যম অপপ্রচারের শিকার হয়, নতুবা নির্যাতনের শিকার হয়। পাহাড়তলী থানার রেলগেট এলাকা এবং পাশের বস্তিগুলোতে চলছে অবাধে দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা রমরমা বাণিজ্য এবং বিভিন্ন আশেপাশে গড়ে উঠেছে জুয়া খেলার আসর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর্তমান সময়ে দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসার ওই সমস্ত এলাকা গুলো হল পাহাড়তলী রেল স্টেশন থেকে আশেপাশে বস্তিগুলোর ভেতরে এবং পাহাড়তলী থানার সামনে রেল লাইনের উপরে । সন্ধ্যা হলেই এখানে চলে আসে ১৪ বছর থেকে শুরু করে ৩০ বছরের নারী পর্যন্ত। এখন প্রশ্ন জাগে সন্ধ্যার পর থেকে নিশি রাত পর্যন্ত এই রেল লাইনের উপরে মেয়ে এবং ছেলেরা কি করে ?
সাপ্তাহিক পূর্ববাংলার অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে, এই রেল লাইনের পাশে অনেক দিন ধরে চলছে এই অবৈধ দেহ ও মাদক ব্যবসা এবং সাথে চলে জুয়া খেলা বস্তির ভেতরে।
অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গদের ছত্রছায়ায় এ সমস্ত কাজ চলছে। কেউ ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ আবার কেউ মুখ খুললেও তাদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে নিশ্চুপ করে রাখে। তরুণ প্রজন্ম ও যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা। এখন শুধু এই এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এসব অপকর্ম বন্ধের জন্য। যাতে ওই সমস্ত এলাকা গুলো দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসার কবল থেকে রক্ষা পায়। এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে পাহাড়তলী থানার ওসি হাসান ইমাম সাহেবের সাথে কথা হয়। ওসি হাসান ইমাম এ বিষয়ে বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা ও আমার নলেজে ও কখনো আসেনি আর পুরো এলাকাটা আমার এরিয়াও না।
এদিকে আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, থানার সকল পুলিশের কাছ থেকে রক্ষার জন্য জনৈক ক্যাশিয়ার মসোহারা নেয়।ওই ক্যাশিয়ার বিভিন্ন অপরাধীদের আশ্রয়্র প্রশ্রয় দেয়।জানা গেছে, গাছের গাড়ী, চোরাই তেলের ডিপু, আবাসিক হোটেল যেখানে পতিতা ব্যবসা হয়, জুয়ার আসর, মদের দোকান, ইয়াবা কারবারী, গরীবের চাল কিনে নেয় এমন সব চালের দোকানদার, স্ক্রাপ ব্যবসায়ী, ওয়ারেন্টপ্রাপ্ত আসামীদের কাছ থেকে ওই ক্যাশিয়ার চাঁদা নিয়ে থাকেন।এসব দেখলে মনে হয় অবৈধ ও অপরাধীদের নিরাপত্তা দিতেই যেন পাহাড়তলী থানা পুলিশ কাজ করে।