রোজায় খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই বদলে যায়। যার কারণে অনেকের শরীরের নানা ধরনের পরিবর্তন চোখে পরে। কারো কারো ওজন বেড়ে যেতে থাকে। তবে পাঁচটি কাজ মেনে চললেই ওজন কমিয়ে আনা সম্ভব।
রমজান মাস হলো আশীর্বাদের মাস। মহান আল্লাহ্র আনুগত্য লাভের মাস। এটি মুসলমানদের উৎসাহের সাথে তাদের ধর্মের কাছে নিয়ে আসে। পবিত্র এ মাস নিয়মের মাস। সব কিছুই নিয়মের মাঝেই হয়। তাই শরীর, মন, জীবন হয় সুন্দর।
নিজের শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ওজন কমানোর জন্য মেনে চলতে পারেন নিচের পাঁচটি নিয়ম।
১. হাইড্রেটেড থাকুন
ইফতারে অনেক বেশি পানি করা আমাদের জন্য অসম্ভব প্রায়। কিন্তু এটা কার্যকরী। শরীরের পর্যাপ্ত পানি পৌঁছানোর সঠিক সময়। তবে মাথায় রাখতে হবে মাত্রারিক্ত পানি পান করা যাবে না। পানি পান করে যাবেন শুধু, কিন্তু খাবার খাবেন না, এমনটা করা যাবে না। ইফতারে পানির পরিবর্তে শরবত পান করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত মিষ্টি দেওয়া যাবে না। আর বাজারে যে পানীয় পাওয়া যায় সেগুলো ইফতারে কোনোভাবেই পান করা যাবে না।
২. টুট্টি ফ্রুটি
অতিরিক্ত তেলে ভাঁজা খাবারগুলো থেকে বিরত থাকুন। নিজের পছন্দের যে সকল ফল রয়েছে তাদের খান। ফলগুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে স্বাদমতো লবণ ছিটিয়ে নিয়ে খেয়ে নিন। এতে শরীর ভালো থাকবে। সেই সাথে পাকস্থলী স্বাস্থ্যকর থাকবে। পাকস্থলী সুস্থ থাকলে খাবার হজম হয়ে শরীরে শক্তি সঞ্চয় করবে দ্রুত। ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে দ্রুত হজম শক্তি।
৩. ব্যায়াম করুন
রমজান মাসে ব্যায়াম করা তুলনামূলক কঠিন। এমনকি ইফতারের পরে হাটাও অনেক কষ্টের। কিন্তু ইফতার করার পর অন্তত ১৫ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটতে হবে। ইফতার করেই শুয়ে অথবা বসে থাকা যাবে না।
৪. ইফতার/সেহরির পর ঘুমানো যাবে না
আপনি যদি ওজন কমানোর প্রতি দৃঢ় হয়ে থাকেন তাহলে ইফতার এবং সেহরি করে কখনই ঘুমানো যাবে না। খেয়ে সাথে সাথে ঘুমালে মেদ বৃদ্ধি হয়। শরীরের মেদ বাড়তে দেওয়া যাবে না।খাবার হজম করে তবেই ঘুমাতে হবে।
৫. ইফতার এবং রাতের খাবারের মাঝে লম্বা বিরতি
একটা খাবার খাওয়ার পরেই আবার অন্য আরেকটা খাবার খাওয়া যাবে না। খাবার খাওয়ার মাঝে একটা বিরতি রাখতেই হবে। ইফতার করার কিছুক্ষণ পরেই অনেকে রাতের খাওয়া করে ফেলেন। এটা করা যাবে না। ইফতারের পর অন্তত ১ থেকে ২ ঘণ্টা পরে রাতের খাবার খেতে হবে।