এম.আলী হোসেন ও নজরুল ইসলাম চৌধুরী
চট্টগ্রাম কাস্টমসর হিসাব অনুযায়ী ২৯৮ কন্টেইনার প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের নষ্ট পণ্য ধ্বংস করতে উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও পণ্য পাচার চক্রের সিন্ডিকেটের সদস্যদের যোগসাজশে টিকাদারী দায়িত্ব পায় কে এম কর্পোরেশন ।
গত ২১মার্চ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ হাউসে এ সমস্ত নষ্ট পণ্য ধ্বংস করতে একটি সিক্রেট মিটিং এর আয়োজন করে এতে সিন্ডিকেটের সদস্য সহ উপস্থিতি ছিলেন টিকাদারী প্রতিষ্টানের মালিক ও তার লোকজন। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৬০০০ টন নষ্ট পণ্য গোপনে গত ২৯ মার্চ ধ্বংস করায় কথা ছিল।ধ্বংস করার স্হান নির্ধারিত করা হয় হালিশহর চৌচালা চৌধুরী পাড়ার ও বেড়িবাঁধ বে – টার্মিনাল মধ্যেবর্তি স্থান ভাড়া কৃত জায়গায়।
গত ২৫ মার্চ এ পণ্য ধ্বংস প্রক্রিয়াকারী কার্যকারি কমিটি থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন , বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস সহ পুলিশ কমিশনারকে একটি চিঠি দিয়েছিল।নষ্ট পণ্য ধ্বংস করার শুরু থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর পক্ষ থেকে আপত্তি জানিয়ে থাকলে ও তিনশো কোটি টাকার নষ্ট পণ্য দায়িত্ব অর্পিত হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কে এম কর্পোরেশন (নিলাম) ম্যানেজার মোঃ মোরশেদের উপর। যে মোরশেদের বিরুদ্ধে বন্দর থেকে নষ্ট পণ্য মালামাল নিয়ে আসার আড়ালে কন্টেইনার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাচার করার অভিযোগ ও রয়েছে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে।
এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক কমিটির নিউটন দাশ দুর্নীতি দমন কমিশন, পরিবেশ অধিদপ্তর, মন্ত্রনালয় পর্যন্ত দরখাস্ত ও দিয়েছেন প্রতিষ্টানটির টিকাদারের বিরুদ্বে।
এদিকে পণ্য ধ্বংসকারী কাস্টমসের ভাড়া কৃত জায়গার আশপাশের বসবাস কৃত নাম গোপন রাখা শর্তে এলাকাবাসী জানান, দিনের বেলায় লোক দেখানো কিছু পণ্য ট্রাকে ইর্য়াডে এনে ধ্বংস নামে মাঁটি চাপা দিলেও তা আবার রাতের বেলায় মাঁটি সরিয়ে নিয়ে যায়। এলাকার আরেক বাসিন্দা নাম গোপন রাখা শর্তে মুচকি হাসি দিয়ে বলে, আমরা সবসময় সারা দিন বেড়িবাঁধ সংলগ্নে কাজ কর্ম করি- যদি বন্দর থেকে এক ট্রাক ধ্বংস করতে আনে পতি মধ্যে থেকে আর দুই ট্রাক বাহিরে বিক্রি উদ্দেশ্য চলে যাবে না তার কি গ্রান্টি আছে ? ভাই এখানে অনেক রাঘব বোয়াল জড়িত বেশি কথা বলা যাবে না এখানে চলছে হরিলুটের মহা উৎসব।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে কাস্টমসের সাথে জায়গার এগ্রিমেন্ট দাতা মান্নান প্রকাশ মিস্ত্রি মান্নানের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান জমির মূল মালিক আবদুল রহিম ও মো ঈসা থেকে ১০ বছর চুক্তিতে ৫ কানি জমি মাসিক ৫ লক্ষ টাকার ভাড়া ধার্য্য করে ভাড়া নিয়ে আমি কাস্টমসর সাইয়েদ সাহেবকে পণ্য ধ্বংস করতে ভাড়া দেই। এখান থেকে পণ্য পাচার বা চুরি সম্পর্কে জানতে চাইলে এখানে আনসার বাহিনী ডিউটি করে আমিও আছি সবসময়। চুুরি বা পণ্য পাচার হলে বন্দর থেকে আসা যাওয়া পথে হতে পারে বলে তিনি জানান। জমির মূল মালিক রহিম ও ঈসা সরজমিনে পত্রিকা অফিসে এসে শিকার করে যে, এই তিনশো কোটি টাকার পণ্যের মধ্যে মাত্র একটি বস্তা মাঁটি খুুঁড়ে চুুরি হয়েছে তাতে কি? তাও আমি ( রহিম) চোরকে ধরে পিটিয়েছি। আমি সারাক্ষণ টাকার সন্ধানে বেড়িবাঁধ ও ইয়ার্ডে পড়ে থাকি। টাকা , টাকা ও টাকা ছাড়া আমি কিছু বুঝি না, আমি কাউকে চিনিনা। অভিজ্ঞমহল ও এলাকাবাসী মনে করেন এই ২৯৮ কন্টেইনারের ৩০০ কোটি টাকার নষ্ট পণ্য ধ্বংসের নামে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পণ্য পাচার কারী দল সহ এরা সবাই একই সূত্রে গাঁথা একটি অদৃশ্য সিন্ডিকেট। পণ্য পাচার ও চুরি সম্পর্কে কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার সুলতান সাহেব মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এরকম সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি এ বিষয়ে কাস্টমস ডি সি (নিলাম) ফয়সাল সাহেবের সাথে কথা বলতে বলেন। কিন্তু মুঠোফোনে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।