চট্টগ্রামের বড়পোল শেভরন ল্যাবে ( ক্লিনিক্যাল ল্যাবটরী পিটিআই লিঃ) গ্র্রাহকদের সাথে চরম প্রতারনা, ভুল রিপোর্ট প্রদান ও দূর্ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। কম টাকায় মানহীন রিএজেন্ট ব্যবহার করে অহরহ ভুল রিপোর্ট দিয়ে রোগীদের শাররীক জটিলতা সৃষ্টি এমনকি টেস্ট না করে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে সমুদয় টাকা ম্যানেজারের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে এখানে । ভুল রিপোর্ট দেবার পর ধরা পড়ে টাকা ফেরত দিতে গিয়ে এসব তথ্য বের হয়ে আসে।
জানা গেছে , ৯ বছর বয়স্ক জাবিয়া হককে ৪ মার্চ প্রফেসর ডাক্তার ফরিদুল আলম একটি টেস্ট করার জন্য পাঠায় শেভরন ল্যাবে। ওইদিন জাবিয়ার পিতা মোজ্জামেল হক ওই টেস্ট করার জন্য ১০০০ টাকা ফি জমা দেয়। টাকা গ্রহনের ইনভয়েস নং হলো ৩৭০২১০। এই ইনভয়েসের ফলাফলে একটি ভুল রিপোর্ট দেয়া হয়। ওই রিপোর্টে ডাক্তার আবুল কালাম সইও দেয়। এই রিপোর্ট নিয়ে প্রফেসর ডাক্তার ফরিদুল আলমের কাছে গেলে তিনি বললেন এইটি ভুল রিপোর্ট । তখনই গ্রাহক শেভরন ল্যাবে যোগাযোগ করলে তারা ভুল স্বীকার করে ও টাকা ফেরত দেবার কথা বলে। মানেজার আসলে টাকা দেবে বলে জানায়। পরে রোগীর পিতা মোজাম্মেল হক ম্যানেজার লিটন বরুন দাশের সাথে এই বিষয়ে কথা বললে তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে ও উল্টাে খারাপ আচরন করেন।
এই রকম অসংখ্য রোগীর সাথে খারাপ ব্যবহার করার নজির রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। মোঃ নাছির ( ০১৮১১ ২৭৫৬৬৫) নামক এই রোগী চরম নাজেহাল হন শেভরন ল্যাবে । আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নিবন্ধনবিহিন এই ল্যাবটি পাচঁলাইশে অবস্হিত শেভরণের শাখা হিসেবে চালিয়ে আসছে। এই বিষয়ে লিটন বরুন দাশের সাথে ফোনে (০১৭০১ ২২৯ ০৮৩) কথা বলার চেষ্টা করলেও এই রিপোর্ট লেখাকালীন সময়ে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।