আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে
হামলা ভাংচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী
শহীদুল ইসলাম স্বাধীন মেম্বারকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। রোববার
বিকেলে আমল গ্রহনকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাল্লা জোনের
দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক শ্যামকান্ত সিনহা তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ
দেন। জানা যায়, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) এর এসপি
মোঃ খালেদুজ্জামান এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ মোবাইল ফোনের কললিষ্ট এর
সূত্র ধরে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থেকে স্বাধীন মেম্বারকে শুক্রবার আটক
করেন। আটকের পর পিবিআই সিলেট কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। এখানে উর্ধতন
পুলিশ কর্মকর্তারা শনিবার রাতভর তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
রোববার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে তাকে সুনামগঞ্জ কোর্ট হাজতে
প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে তাকে হাজির করা হয় আমল গ্রহনকারী
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাল্লা জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক শ্যামকান্ত
সিনহার সামনে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাল্লা থানার এসআই আবুল বাশার
প্রধান আসামী শহীদ মেম্বারকে ১০ দিনের রিমান্ড এবং একই মামলার আরো
২৯ আসামীকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত আপাতত একমাত্র
আসামী স্বাধীনকে জেলহাজতে প্রেরণের পাশাপাশি ২২ মার্চ সোমবার
রিমান্ডের আবেদন শুনানীর তারিখ ধার্য করেন। সুনামগঞ্জ কোর্টের অফিসার
ইনচার্জ মোঃ সেলিম নেওয়াজ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,স্বাধীন
মেম্বারসহ অন্য আসামীদের রিমান্ডের আবেদন সোমবার প্রকাশ্য আদালতে
শুনানী হবে। তিনি বলেন,রোববার কোর্টের কাজ বন্ধ থাকায় বিজ্ঞ আদালত
জামিনের আবেদন শুনানী ছাড়াই তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। পুলিশ
ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) এর এসপি মোঃ খালেদুজ্জামান
বলেন,জিজ্ঞাসাবাদে স্বাধীন মেম্বারের কাছ থেকে অনেক মূল্যবান তথ্য উপাত্ত
পাওয়া গেছে। এগুলো আমরা যাচাই বাছাই করে এ্যাকশন নেবো।
এদিকে রোববার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ
সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম বলেন, জলমহাল
সংক্রান্ত বিরোধ থাকলেও মূলত ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সুত্রপাত।
এই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে এবং স্থানীয় ইউপি
চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় এপর্যন্ত প্রধান আসামী স্বাধীন মেম্বারসহ ৩৩ জনকে আটক
করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদেরকেও দ্রæত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
অপরাধীদের কেউ ছাড় পাবে না।