আজ ভোরে কাউন্সিলর সাইয়িদ গোলাম হায়দার মিন্টু ঢাকার একটি বেসসরকারী হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন ( ইন্না……রাজেউন)।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে কমিশনার নির্বাচিত হন সাইয়িদ গোলাম হায়দার মিণ্টু (৭১) , এর আগে ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম পৌর সভার সভার কমিশনার নির্বাচিত হন তিনি। মাঝখানে এরশাদ স্বৈরশাসনে আমলে নির্বাচন বর্জন করেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে, ২০১০ সাল হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মেয়র মনজুর আলমের সাথে, ২০১৫ সাল হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন সাথে নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
এবার ২০২১ সালের নির্বাচিত হয়ে কাউন্সিলর হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বিগত এক সপ্তাহ ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি বেসসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হলে আজ ভোরে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী মেহেরুন্নেসা ও পুত্র সাইয়িদ সদরুল হায়দারসহ ভাইবোন আত্মীয় স্বজন রেখে যান। সাইয়িদ গোলাম হায়দার মিন্টু চসিকে বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির দায়িত্বে ছিলেন। একজন দক্ষ অভিজ্ঞ কাউন্সিলর ও সমাজ সেবক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে এগিয়ে থাকা মিন্টুর বৃহত্তর চট্টগ্রাম বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী সংগঠন ও স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠনের সফল প্রধান উদ্যোক্তা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তাঁর মৃত্যুতে চট্টগ্রাম একজন নির্ভীক বৃদ্ধিদীপ্ত জনপ্রতিনিধিকে হারালো। চকবাজার ওয়ার্ডের এই শূণ্যতা পুরণ হবার নয়। আমরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এক্স কাউন্সিলর ফোরাম তাঁর মৃত্যৃতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। এবং শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
শোক বিবতি দেন সভাপতি- জালাল উদ্দিন ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসেন। এ ছাড়াও হাসিনা জাফর, রেহানা বেগম রানু, এড. এম এ নাসের, নাজিম উদ্দিন আহমদ, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, মোহাম্মদ তৈয়ব, এ এস এম জাফর, পেয়ার মোহাম্মদ, নুরুল হুদা লালু, আনোয়ার হোসেন, জাবেদ নজরুল ইসলাম, আলী বক্স, এম এ মালেক, রফিকুল আলম, এস এম ইকবাল, জসিম উদ্দিন, বিজয় কৃষাণ চৌধুরী শোক প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া আনোয়ারা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জাহেদুল ইসলামও গভীর শোক প্রকাশ করেন।