হোসেন বাবলা
বদলি ও দিনভিত্তিক শ্রমিকদের সকল পাওনা দ্রুত পরিশোধ, ২০১৯ সালের বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও অবিলম্বে রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ সকল পাটকল পাটকল চালু, বদলি শ্রমিকদের লকডাউনের মজুরি পরিশোধ, অবসানকৃত বদলি শ্রমিকের নোটিশ পে মজুরি পরিশোধ, শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনের মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদ আমিন জুট মিল গেইটে সকাল ১০টায় অবস্থান-সমাবেশ ও মিছিল করেছে।
বক্তব্য রাখেন পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদ, চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব মোঃ কামাল, জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য মুশফিক উদ্দিন ওয়াসি, আমিন শিল্পাঞ্চল শাখার সংগঠক মোঃ বেলাল, মোঃ আকতার, তানসেন, বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলনের সহ সভাপতি দিলীপ দাশ, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি তিতাস চাকমা, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় অর্থ স¤পাদক এ্যানি চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক এস এম শাহীন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “ন্যায্য পাওনা পরিশোধ এবং রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো চালুর দাবিতে পাটকল শ্রমিকরা একের পর এক হামলা, মামলা, গ্রেফতার, হয়রানি উপক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে লড়াই করছে। আন্দোলনের নেতা রুহুল আমিনকে ষড়যন্ত্রমূলক ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে জেলবন্দী করা হয়েছে। তবুও শ্রমিকরা রাজপথ ছাড়বে না। বকেয়া বেতন পরিশোধ, পাটকল চালু এবং রুহুল আমিনের মুক্তির দাবিতে গত ৩ তারিখ চট্টগ্রামে পাটকল রক্ষায় শ্রমিক ছাত্র জনতা ঐক্য পরিষদ বিজেএমসি ভবন ঘেরাও করেছে। কিন্তু এখনো কোনো দাবি মেনে নেওয়ায় এবং রুহুল আমিনের শুনানিকে সামনে রেখে আজকে মিলগেটে এই শ্রমিক সমাবেশ।”
বক্তারা আরো বলেন, “দীর্ঘ আটমাস পার হলেও এখনো বদলী শ্রমিকেরা তাদের পাওনা বুঝে পায়নি। সরকার বা বিজেএমসি পক্ষ থেকে কোন সু¯পষ্ট ঘোষণা দেয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে, পাটকলের হাজার হাজার একর জমি দখল এবং যন্ত্রপাতি লুটের জন্য পাটকলগুলো বেসরকারিখাতে ছেড়ে দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেল বন্দী করে আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে; যা আন্দোলনরত শ্রমিকরা কখনো মেনে নেবেনা এবং পিছিয়ে যাবে না।
” বক্তারা শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনের জামিন নামঞ্জুর হওয়ার সংবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বকেয়া পরিশোধ, অবিলম্বে পাটকল চালু, রুহুল আমিনের নিঃশর্ত মুক্তি এবং নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মিছিল সহযোগে আমিন জুটমিল ম্যানাজমেন্টের কাছে স্মারকলিপি দিতে গেলে ম্যানাজমেন্ট কর্তৃপক্ষ জানায় বদলী শ্রমিকদের টাকার ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না। এর দায়ভার তারা বহন করবেন না। এই বলে তারা স্মারকলিপি গ্রহণ করেন নি।