পতেঙ্গা প্রতিনিধি
পতেঙ্গায় অবাধে চলছে চাঁদাবাজি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। কিছু সংখ্যক অসৎ ট্রাফিক পুলিশ সদস্য এবং ভুয়া সাংবাদিকদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে সাধারণ জনগণ।এ বিষয় নিয়ে পতেঙ্গায় চলছে রাস্তায় মোড় থেকে শুরু করে চার দোকান পর্যন্ত নানা ধরনের আলোচনা। কিন্তু কেউই ভয়ে কিছু বলতে পারছে না। কাটগড় থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত,অলিতে গলিতে চলে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এই অটোরিকশা চালকদের নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং নেই গাড়ির কাগজপত্রও তবুও মানছে না কোন ধরনের আইন,

ট্রাফিক সার্জেন্টের যেন কিছুই করার নেই।
অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় আসলে এই গাড়িগুলো চলে কিছু নেতা এবং ভুয়া অসৎ সাংবাদিক আর কিছু সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশের ইশারায় । বিআরটিএ অনুমোদন না দিলেও অনুমোদন দিয়ে থাকেন ওইসব ভুয়া সাংবাদিক এবং কিছু সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ডিউটি করছিলেন এক সার্জেন্ট, তার নাম মোঃ রাজু সাথে ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্য মোঃ মোস্তাফিজুর । দেখা গেল ট্রাফিক মোস্তাফিজুর দুইটি অটো ব্যাটারি চালিত গাড়ি আটক করে কিন্তু কিছু সময় চালকের মোবাইল ফোন দিয়ে কথা বলার পর গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সার্জেন্ট রাজু চলে যায় তখন ট্রাফিক পুলিশ মোস্তাফিজুর এ বিষয়ে বলেন, আমরা কি করব টিআই সারোয়ার পারভেজ স্যার কে ম্যানেজ করেই এসব অবৈধ ব্যাটারিচালিত গাড়ি চালাচ্ছে আমাদের কিছু করার নেই।
এ বিষয়ে সার্জেন্ট টুটুন সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কিছু জানি না অন্যজন হয়তোবা কিছু বলতে পারবে। এ বিষয়ে সার্জেন্ট আজিম সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গাড়ি আটক করলে অনেক সাংবাদিক এবং আরও অনেকেই ফোন দিয়ে রিকোয়েস্ট করে তখন আমরা চক্ষু লজ্জায় ছেড়ে দিতে বাধ্য হই। এ বিষয়ে বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের এসি মিজান সাহেব বলেন, অবৈধ সবার জন্যই অবৈধ, আমাদের সামনে অবৈধ গাড়ি চোখে পড়লে আমরা অবশ্যই আটক করব, গাড়ির মালিক কে বা কারা সেটা দেখার বিষয় নয়, আইন সবার জন্য সমান। তিনি আরো বলেন আমাদের ট্রাফিক পুলিশের কেহ যদি অবৈধ গাড়ি চালানোর বিষয়ে জড়িত থাকে আমরা যদি তার প্রমাণ পায় তাহলে আমরা অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেব।