চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশেনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরীর ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচীর আলোকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশকের প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসের ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দকে সাথে নিয়ে নির্বাচিত কাউন্সিলরগণ স্ব স্ব ওয়ার্ডে এ ক্রাশ প্রোগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সিটি মেয়র রেজাউল করিমের নির্দেশনায় নগরব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশকের প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল বৃহষ্পতিবার ও ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালিত হয় নগরীর ২৮নং পাঠানটুলী ওয়ার্ডে। কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে সমগ্র ওয়ার্ডের নালা, নর্দমা থেকে আবর্জনা অপসারনের মাধ্যমে কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। সিটি মেয়র রেজাউল বলেন, আমরা নিজেরাই পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিনের ব্যাগ ও গৃহস্থালী বর্জ্য নির্ধারিত স্থান ও ডাস্টবিনে না ফেলে রাস্তাঘাট ও নালা নর্দমার ছুড়ে ফেলে নিজেদের শহরকে নোংরা করে তুলছি। নালা, নর্দমার পানি চলাচলকে ব্যাহত আবর্জনার স্তুপে পরিনত করে মশকের উপদ্রব, রোগ বালাই ও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ ডেকে আনছি। সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব নিয়ে পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেয়া আমার প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব। সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার দিয়ে কর্পোরেশনের লোকবল, কাউন্সিলদের সাথে নিয়ে সেই দায়িত্ব আমি পালন করব। পাশাপাশি নাগরিক সচেতনতা প্রত্যাশা করছি। যত্র তত্র বর্জ্য, আবর্জনা ছুড়ে না ফেলে কর্পোরেশন নির্ধারিত আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত স্থান ও ডাস্টবিন ব্যবহার করার অনুরোধ জানাই। বাসায় বাসায় গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করছে কর্পোরেশন। তবুও সংখ্যায় কম হলেও কেউ কেউ সময়মত বর্জ্য সংগ্রহকারী কর্মী কাছে সময়মত বর্জ্য না দিয়ে রাতের অন্ধকারে নালা নর্দমায় বর্জ্য ছুড়ে ফেলছেন। দোকানদাররা যারা পানীয় বিক্রি করছেন, প্লাস্টিকের মোড়কযুক্ত খাবার বিক্রি করছেন তারা যদি দোকানে পর্যাপ্ত বিন বা ঝুড়ি রেখে প্লাস্টিকের বোতল, খাবারের মোড়ক, পলিথিন এসব যত্রতত্র না ফেলে সংরক্ষিত ঝুড়িতে ফেলতে গ্রাহকদের অনুরোধ ও সচেতন করে তোলেন তবে নালা গুলো আর সহজে ভরাট হবেনা। এতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজ অনেকটাই সহজ হবে এবং নিজেরাই উপকৃত হবেন।